“১৯৩৫-এ কলকাতায় পরমহংস যোগানন্দের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। তখন থেকে আমেরিকায় তাঁর কার্যাবলির বিবরণ অনুসরণ করে আসছি। এই পৃথিবীতে যোগানন্দজির উপস্থিতি ছিল অন্ধকারের মাঝে একটি উজ্জ্বল আলোর মতো। এধরনের মহান আত্মা কদাচিৎ এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন, যখন মানবজাতির প্রকৃত প্রয়োজন হয়।”

— পরম পূজ্য শ্রীচন্দ্রশেখরেন্দ্র সরস্বতী, কাঞ্চিপুরমের শঙ্করাচার্য

“[পরমহংস যোগানন্দজির] যোগী-কথামৃত দীর্ঘদিন ধরে একটি শ্রেষ্ঠ বিক্রিত বই হিসেবে পরিচিত। বিশ্বজুড়ে তাঁর সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপ কেন্দ্রগুলি হচ্ছে আন্তরিক আত্মানুসন্ধানকারী মানুষদের প্রিয় আশ্রয়স্থল ... ১৯৫০-এ যখন আমি তাঁকে লস অ্যাঞ্জেলসের সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপ সদর দপ্তরে সাক্ষাৎ করি, তখন তিনি আমাকে যেভাবে প্রভাবিত করেছিলেন তা আজও মনে আছে...তিনি একজন প্রকৃত ত্রাণকর্তার মতো ছিলেন। তাঁর বলিষ্ঠ দেহ একটি ঢিলেঢালা গেরুয়া পোশাকে ঢাকা ছিল, আর তাঁর উপস্থিতির প্রভাব চারপাশের পরিবেশকে এক আকর্ষণী শক্তিতে পূর্ণ করেছিল। মনে আছে আমার অলীক কল্পনায় ভাবছিলাম, ‘তিনি যেন বিশ্বজগতের আকাঙ্ক্ষা ও তার আনন্দ একসঙ্গে বহন করছেন।’ তাঁর মধ্যে যে শান্তি ছিল তা যেন এই পৃথিবীর নয় এমন এক প্রশান্তি যা আমরা দৈনন্দিন জীবনে সাধারণভাবে খুঁজে পাই না। তাঁর জনপ্রিয়তার কারণ ছিল স্পষ্ট…


“তাঁর সাফল্য চাকচিক্যের থেকেও অনেক বেশি কিছু ছিল; তাঁর ছিল একটি গোপন রহস্য — ক্রিয়াযোগ (সার্বজনীন কর্মযোগ) — যা আজ হঠযোগের পাশাপাশি পাশ্চাত্য জগতের আগ্রহ ও মনোযোগ আকর্ষণ করার আর এক প্রধান দাবীদার।”

— ড. মার্কাস বাখ, লেখক-শিক্ষক, মন্ত্রী, ইউনাইটেড চার্চ অফ ক্রাইস্ট

“স্বামী যোগানন্দের অধীনে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণে আমি যে শিক্ষা পেয়েছি, তা আমি যেখানকার স্নাতক সেই দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় ও দুইটি ধর্মতত্ত্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষা থেকেও বেশি। এই পাঠ্যক্রম আমার কাছে এক বিস্ময়কর প্রকাশ ছিল। আমি ব্যাখ্যার সঙ্গে উপলব্ধির মৌলিক পার্থক্য জানতে পেরেছি...আমি কামনা করি, যেন আমার সব সহকর্মী মন্ত্রীরা এমন করুণাময় এবং খ্রিস্টসদৃশ শিক্ষকের ছত্রছায়ার প্রভাবে আসতে পারেন, যার কাছে সত্যের এক জীবন্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে।”

— রেভারেন্ড আর্থার পর্টার, এম.এ., ডি.ডি., মন্ত্রী, কংগ্রিগেশনাল চার্চ, লন্ডন

“যদি স্বর্গে বা পৃথিবীতে এমন কোনো শক্তি থেকে থাকে যা মানুষ ও দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং মানুষের হৃদয়কে নিরাময় করতে পারে, তাহলে সেই শক্তি তাঁর [যোগানন্দ] শিক্ষাতেই নিহিত।”

— রেভারেন্ড এডওয়ার্ড এ. লোহম্যান ক্লিভল্যান্ড, ওহাইয়ো

“আমি যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া/সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপ-এ (পরমহংস যোগানন্দ প্রতিষ্ঠিত) সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিকতা, সেবা ও ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছি।”

— পরম পূজ্য ভারতী কৃষ্ণ তীর্থ, পুরীর শঙ্করাচার্য

“অমূল্য রত্নের মতো বিরল এক মহাপুরুষ, যাঁর তুলনা পৃথিবী এখনো দেখেনি, পরম পূজ্য শ্রী পরমহংস যোগানন্দ প্রাচীন ঋষি ও সাধকদের এক আদর্শ প্রতিনিধি, ভারতবর্ষের গৌরব।


“তিনি আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি মানুষের মধ্যে সুপ্ত আধ্যাত্মিক শক্তিকে সক্রিয় করে সকলের আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। শ্রী যোগানন্দ সকল ঈশ্বরের সন্তানদের জন্য বেদ ও উপনিষদের চিরন্তন উৎস থেকে প্রবাহিত অফুরন্ত অমৃতরসের স্বাদ গ্রহণ সম্ভব করে তুলেছেন।


“আজ যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া/সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপের বিশ্ব কেন্দ্রগুলি পরমহংস যোগানন্দের কর্মের প্রতিরূপ। এই কেন্দ্রগুলি নিজেদের আরও বিস্তার ঘটাবে এবং একটি নিবিড়ভাবে সংযুক্ত আধ্যাত্মিক শক্তির চুম্বকীয় জাল তৈরি করবে, যা বিশ্বে শান্তি ও আনন্দ বর্ষণ করবে।”

— স্বামী শিবানন্দ, দ্য ডিভাইন লাইফ সোসাইটি, ঋষিকেশ, ভারত

এই শেয়ার করুন