"বহু বছর আগে আমি পরমহংস যোগানন্দের সংস্পর্শে আসি, তত্ত্বজিজ্ঞাসু হয়ে নয়, তবে বিশ্লেষণাত্মক ও সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির হলেও একজন সহানুভূতিশীল লেখক হিসাবে। তাঁর মধ্যে আমি এক বিরল মিশ্রণ লক্ষ্য করেছি। সুপ্রাচীন মূলতত্ত্বের উপর তাঁর অগাধ ভরসা থাকলেও, তাঁর উদারভাবে মানিয়ে নেবার সহজাত গুণ ছিল, সেইজন্যে হিন্দু বা ভারতীয়ত্ব বিসর্জন না দিয়েও তিনি খ্রিস্টান ও আমেরিকান ধারার সাথে মানানসই হয়ে উঠেছেন। তাঁর প্রাণবন্ত বোধশক্তি ও মহৎ হৃদয়ের কারণে, বিশ্বের ধর্মীয় সাধকদের মধ্যে সমন্বয় ও সত্য ফুটিয়ে তুলতে তিনি বিশেষ পারঙ্গম ছিলেন। অসংখ্য মানুষের মাঝে তিনি শান্তি ও আনন্দ নিয়ে এসেছেন।"
— ডঃ ওয়েন্ডেল থমাস, লেখক এবং প্রাক্তন অধ্যাপক, কলেজ অফ দ্য সিটি অফ নিউ ইয়র্ক
"মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধের জন্যে গুরুদেব যোগানন্দের কাজ সম্বন্ধে যারা ওয়াকিবহাল আর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে পৃথিবীর মহৎ ধর্মগুলোর ওপর গভীর বোধশক্তি সম্পন্ন তাঁর রচনার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষভাবে যারা তাঁর সংযোগে আসেন তারা জানেন তিনি এক অনন্য আধ্যাত্মিক শক্তি...
"মনে আছে, একবার মহাত্মা গান্ধী আমার কাছে যোগানন্দের অত্যন্ত প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যোগানন্দের মতো একজন আধ্যাত্মিক গুরু, যিনি ভারত ও পাশ্চাত্যের মধ্যে যে সুগভীর অন্তর্দৃষ্টির প্রকৃত আশার বার্তা নিয়ে এসেছেন তা সমস্ত রাজনীতিবিদদের একত্রিত কাজের থেকে অনেক বেশি।"— ড. ক্যামিল হোনিগ, সাহিত্য সম্পাদক, দ্য ক্যালিফোর্নিয়া জিউইশ ভয়েস
"ভবিষ্যতের জন্য, পরমহংস যোগানন্দ, যিনি এখন আমাদের মধ্যে সশরীরে বিদ্যমান নেই, তাঁকে নতুন বিশ্বে ভারতের উচ্চ সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ দূত হিসেবে গণ্য করা হবে। আমেরিকা সহ সমগ্র মহাদেশে সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপের অসংখ্য কেন্দ্র তাঁর পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্য কতখানি সফল হয়েছে, তারই সুস্পষ্ট প্রমাণ।"
— ড. ডব্লিউ. ওয়াই. ইভান্স-ওয়েন্টজ, এম.এ., ডি. লিট., ডি.এসসি., জেসাস কলেজ, অক্সফোর্ড
"পরমহংস যোগানন্দ ছিলেন এই প্রজন্মের জ্ঞান ও মানবতার অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন।"
— ডঃ ফ্রান্সিস রল্ট-হুইলার, মেটাফিজিক্যাল স্কলার, ল'অ্যাস্ট্রোসোফি-র সম্পাদক, নাইস, ফ্রান্স
"তিনি প্রবুদ্ধ ছিলেন...বিশিষ্টদের একজন। সব দিক থেকেই তিনি অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি যা যা বলেছেন, সবই মানুষের জন্য উপকারী। তিনি মানবজাতিকে নিষ্কলঙ্ক, বিশুদ্ধ বিশ্বাস, সার্বজনীন বিশ্বাসের পথ দেখিয়েছেন....
"সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপ [এসআরএফ] নামটি তার কাজের বর্ণনাত্মক বলেই আমি মনে করি — আত্ম-উপলব্ধি করছেন, নিজেদের সুপ্তশক্তি উপলব্ধি করছেন এমন সম্মিলিত মানুষজন..........যখনই কোনো এসআরএফ কেন্দ্রে আমি যাই, সে প্যাসিফিক প্যালিসেডের লেক শ্রাইন হোক বা মাউন্ট ওয়াশিংটন [এসআরএফ সদর দফতর] বা অন্য কোনো, তা সে যে জায়গাতেই হোক না কেন, যে ব্যাপারটা আমাকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করেছিল তা হল শান্তি। তাঁরা শুধুমাত্র শান্তির কথাই বলেন না, শান্তির কথা ঘোষণা করেন না, তাঁরা আসলে শান্তিতেই বিশ্বাস করেন। আসলে তাঁরা একটা শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করেন...সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপ তার প্রতিষ্ঠাতা যোগানন্দের প্রতিচ্ছবি।"— দান থ্র্যাপ, প্রাক্তন রিলিজিওন এডিটর, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস
"আমি নিজেও একজন প্রবর্তক ছিলাম, তাই আমি প্রবর্তক সম্বন্ধে সবই জানি। আমাদের নারীদের যাদের কুসংস্কার ও বদ্ধমূল ধারণার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লড়াই করতে হয়েছে ভোটাধিকার পেতে...আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তিস্থাপন যাঁরা করেছেন তাঁদের মতো আমরাও ততটাই প্রবর্তক। বহুবছর প্রাচ্যের ঋষিদের দর্শনের ছাত্রী থাকার কারণে স্বামী যোগানন্দের চরণকমলে কিঞ্চিৎ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে পেরে আমি আনন্দিত…
"তিনি পৃথিবীর জন্য একজন অসাধারণ আচার্য যাঁর শিক্ষা এই শতাব্দীর জন্য উপযুক্ত। আমার মনে হোত তিনি যেন এই দেশের কর্মদক্ষতা ও প্রাচ্যের অধ্যাত্মবাদের মধ্যে একজন সংযোগরক্ষাকারী আধিকারিক। প্রত্যেকেরই অপরকে প্রয়োজন আর প্রত্যেকেরই এই দুয়ের মিশ্রণ দরকার...যোগানন্দের মতো একজন পথ প্রদর্শক ভীষণভাবে প্রয়োজন... তাঁর দর্শন ছায়ার মতো মিলিয়ে যাওয়া বিলীয়মান, অপ্রাকৃত, বস্তুবাদে অতৃপ্তদের কাছে, চিন্তাবিদদের কাছে আবেদন রাখে যা সত্যের আলোকে দূরীভূত হয়।"— হেস্টার এম. পুলে, লেখক এবং নারী ভোটাধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ
"দুটি উদ্দেশ্যে তিনি এই ফেলোশিপ প্রতিষ্ঠা করেন: ঈশ্বরের দিব্য জ্যোতিসম আত্মজ্ঞানের মাধ্যমে ঈশ্বরসান্নিধ্য এবং সমগ্র মানবজাতির মেলবন্ধন। বস্তুতঃ বিজ্ঞান ও ধর্মের মূলগত অখন্ডতার মাধ্যমে সামঞ্জস্যবিধান করে যোগানন্দ আধ্যাত্মিক ও ভৌত স্তরের মধ্যে দুঃখজনক হলেও জরুরি পুনর্বিন্যাসের প্রয়াস করেন। পরমহংস যোগানন্দের এই কাজ অলৌকিক। তাঁর চক্ষুতে ও বক্তব্যে ঝরে পড়া আকর্ষক ব্যক্তিত্ব আমি এখনও মনে করতে পারি। আমি তাঁকে পাশ্চাত্যে প্রাচ্যের দূত বলে অভিহিত করি। অবশ্যই তিনি তাঁর সব শিষ্যদের আনন্দের পথ দেখিয়েছেন। ভারত তাঁর এমন মহান, স্নেহময়, দিব্য মানব ও বিশ্বমানব পুত্রের জন্য গর্বিত।"
— শ্রী ভূপিন্দ্র নাথ সরকার, ভারতীয় শিক্ষাবিদ এবং ক্যালকাটা হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড-এর লেখক