দৈনন্দিন ব্যস্ততা থেকে সরে এসে নীরবতায় নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করুন এবং আপনার ঈশ্বরচেতনাকে আরও গভীর করে তুলুন।
ঈশ্বরের সাথে একান্তবাস তোমার মন, শরীর ও আত্মাকে কতটা প্রভাবিত করে তা জেনে তুমি অবাক হয়ে যাবে… নিস্তব্ধতার প্রবেশপথে আসা জ্ঞানরশ্মি ও প্রশান্তি তোমাকে আপ্লুত করে রাখবে।
— শ্রীশ্রী পরমহংস যোগানন্দ
যারা আধ্যাত্মিকতাকে নবজীবন প্রদান করতে আগ্রহী ও যারা দৈনন্দিন জীবনের টানাপোড়েন থেকে মুক্তি পেতে চান — হোক না তা কয়েকটা দিনের জন্যই — যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সম্যক জীবনযাপন নিভৃতাবাস তাদের সবার দিব্য ভাবধারা গভীরতর করতে উন্মুক্ত। পরমহংস যোগানন্দের কথায় এইসকল কর্মসূচি “নিস্তব্ধতার একটি ডায়নামো যেখানে [তুমি] শুধুমাত্র অনন্ত কর্তৃক পুনরুজ্জীবিত হওয়ার জন্য যেতে পারো।”
আন্তরিক সাধকরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিরাম কাজকর্ম থেকে মনোযোগ প্রত্যাহার করে অভ্যন্তরীণ নীরবতার প্রতি নিবিষ্ট করার এক চমৎকার সুযোগ পান, যার মাধ্যমে তাঁরা ঐশ্বরিক শান্তি ও আনন্দের অমৃত পান করতে পারেন। তাঁরা বিশ্রাম এবং অনুপ্রেরণা ও আধ্যাত্মিক নবজীবন লাভের জন্য এই নিভৃতাবাসে আসতে পারেন। অথবা সেই প্রশ্নগুলির উত্তর বা সমস্যার সমাধান খুঁজতে পারেন যা শুধুমাত্র গভীর মনন, উপলব্ধি এবং অন্তরের পথনির্দেশের মাধ্যমেই সম্ভব।
কেউ ব্যক্তিগত নিভৃতাবাসের জন্য আসতে পারেন অথবা একটি পরিচালিত নিভৃতাবাসে যোগ দিতে পারেন, যেখানে পরমহংস যোগানন্দের সম্যক জীবনযাপন প্রজ্ঞার উপর ভিত্তি করে দৈনিক ধ্যান এবং প্রেরণাদায়ক অধিবেশনের একটি নিবিষ্ট কার্যক্রম থাকে। এই নিভৃতাবাস সারা বছর ধরে ওয়াইএসএস আশ্রম এবং ভারতের বিভিন্ন ওয়াইএসএস নিভৃতাবাস স্থানে অনুষ্ঠিত হয়।
দেশজুড়ে যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সম্পূর্ণরূপে নিভৃতাবাসের জন্য গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্থান রয়েছে। এইসব স্থান প্রকৃতির কোলে নির্মল পরিবেশে, কোলাহলপূর্ণ শহুরে জীবনযাত্রার ব্যস্ততার থেকে দূরে অবস্থিত এবং নিভৃতাবাসীদের আরামপ্রদান ও সাধনার গভীরে গিয়ে তাদের প্রকৃত সত্ত্বার নিকটস্থ হওয়ার এক আদর্শ পরিবেশ প্রদান করে।
এইসমস্ত স্থান ছাড়া বিভিন্ন ওয়াইএসএস আশ্রমেও নিভৃতাবাসের আয়োজন করা হয়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন ওয়াইএসএস আশ্রম সম্বন্ধে আরও জানার জন্য দয়া করে এখানে ক্লিক করুন।
সেপ্টেম্বর – ডিসেম্বর ২০২৫
বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ওয়াইএসএস আশ্রম ও নিভৃতাবাস কেন্দ্রসমূহে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন নিভৃতাবাস সম্পর্কে জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।
সেপ্টেম্বর | অক্টোবর | নভেম্বর | ডিসেম্বর | ||
---|---|---|---|---|---|
ওয়াইএসএস আশ্রম নয়ডা | সেপ্টেম্বর ১২-১৪* | — | নভেম্বর ১৪-১৬* | — | |
ওয়াইএসএস আশ্রম দ্বারহাট | সেপ্টেম্বর ২৮-৩০* | — | নভেম্বর ১৪-১৬* | — | |
ইগতপুরী | সেপ্টেম্বর ২৬-২৮ | — | নভেম্বর ২২-২৩ | ডিসেম্বর ২১-২৭ | |
রাজামুন্দ্রি | সেপ্টেম্বর ১২-১৪* | — | নভেম্বর ১৪-১৬* | — | |
শিমলা | সেপ্টেম্বর ৫-৭ সেপ্টেম্বর ১৯-২১ | — | — | ডিসেম্বর ১২-১৪ | |
পুনে | সেপ্টেম্বর ২৭-২৮ | অক্টোবর ২৫-২৬ | নভেম্বর ২৯-৩০ | ডিসেম্বর ২৭-২৮ | |
কোয়েম্বাটোর | সেপ্টেম্বর ২৭-২৮ | অক্টোবর ২৫-২৬ | নভেম্বর ১৪-১৬* | ডিসেম্বর ২৭-২৮ | |
পুরী | — | — | নভেম্বর ২১-২৩* নভেম্বর ২৮-৩০* | — |
দয়া করে লক্ষ্য করুন:
ওয়াইএসএস ও এসআরএফ পাঠমালার শিক্ষার্থীদের তাদের সুবিধামত এই পরিকল্পিত পরিচালিত নিভৃতাবাসের একটিতে অংশগ্রহণ করতে বা ব্যক্তিগত নিভৃতাবাসের পরিকল্পনা করার জন্য স্বাগত জানানো হচ্ছে। আপনি উল্লিখিত নিভৃতাবাস কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক হলে দয়া করে সংশ্লিষ্ট আশ্রম/নিভৃতাবাস স্থানে কমপক্ষে এক মাস আগে নিম্নোক্ত তথ্যগুলি জানান:
দয়া করে লক্ষ্য করুন:
এইসব নিভৃতাবাস কর্মসূচির কোনো ধার্যমূল্য নেই। আর্থিক অবদানের ক্ষমতা না থাকলেও গুরুদেবের নিভৃতাবাস সকলের জন্য উন্মুক্ত। যেহেতু নিভৃতাবাসের সুযোগসুবিধা আপনার দানের দ্বারাই উজ্জীবিত থাকে যা আহার, আবাসস্থান, রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান ইত্যাদির খরচ বহন করে সেক্ষেত্রে সকল আন্তরিক ঈশ্বরসন্ধানীর জন্য গুরুদেবের আতিথেয়তার বিস্তার ও তার খরচ বহনের উদ্দেশ্যে যারা বৃহৎ দানে সক্ষম তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
প্রথমে ‘কেন্দ্র ফান্ড’ নির্বাচন করে ও তারপর ‘কেন্দ্র নেম’ থেকে নিভৃতাবাস স্থানের নাম নির্বাচন করে অনলাইনে দান করা যাবে। নিভৃতাবাসের ঠিকানায় চেক পাঠিয়েও দান করা যেতে পারে।
নিভৃতাবাস চলাকালীন আপনার কর্তব্য হল বিশ্রাম নেওয়া এবং ঈশ্বরের সর্বব্যাপী কৃপার প্রতি সুগ্রাহী হওয়া। বিশুদ্ধ বাতাসে ঘোরাফেরা করে, ব্যায়াম করে ও বিশ্রাম করে শারীরিক আরাম লাভ করুন। দৈনন্দিন জীবনের উদ্বেগ ও চাপ ঝেড়ে ফেলে মানসিক প্রশান্তি লাভ করুন। বাহ্যিক কাজকর্ম বাদ দিয়ে ঈশ্বরের প্রতি সুগ্রাহী হন এবং তাঁকে আপনার মনে ও হৃদয়ের উচ্চাকাঙ্খার শ্রেষ্ঠ আসনে বসান। আপনার নিজ সত্ত্বায় তাঁর উপস্থিতির ক্রমবর্ধমান উপলব্ধি বাকি কাজটি করবে। গভীর ঈশ্বরচেতনার অনুশীলনে নিভৃতাবাসের নিরবিচ্ছিন্ন কার্যসূচির অভিজ্ঞতা তাঁর দ্বারা আপনার শক্তির নবোদ্যম ও দীর্ঘস্থায়ী সুখ ও শান্তি আনয়ন করবে।
নিভৃতাবাস স্থানের সুন্দর পরিবেশে বিশ্রাম এবং ঈশ্বর-সান্নিধ্য উপভোগ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। ভক্তরা শারীরিক বিশ্রামের জন্য বিশুদ্ধ বাতাসে হাঁটচলা ও ব্যায়াম করতে পারেন। সকাল ও সান্ধ্য সমবেত ধ্যান ছাড়াও ভক্তগণ ব্যক্তিগত ধ্যানেরও সময় পাবেন।
এক সফল নিভৃতাবাসের দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিনির্ভর। আপনি নিজ সত্ত্বার পুনর্নবীকরণে আসুন বা নিজ অন্তরে পীড়াদায়ক প্রশ্ন ও সমস্যার সমাধানের জন্য আসুন, ঈশ্বরের সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপরই আপনার প্রচেষ্টার সাফল্য সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল — সেই পরমাত্মা যিনি জীবন, প্রজ্ঞা, স্বাস্থ্য এবং সুখের উৎস। যত বেশি আপনি তাঁর আত্মিক উপস্থিতির সচেতনতা লাভ করবেন, জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধানে অনুপ্রেরণা, আশ্বাস ও পথনির্দেশনা পাবেন।
নিম্নলিখিত বিষয়ে যত্নশীল হলে আপনি সেই সচেতনতালাভে অনেক সাহায্য পাবেন:
যদি আপনি ওয়াইএসএস এবং পরমহংস যোগানন্দের শিক্ষায় নতুন আগ্রহী হন, নীচের লিঙ্কগুলিতে আপনারা অন্বেষণ করতে পারেন:
বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত এক আধ্যাত্মিক শ্রেষ্ঠ রচনারূপে পরমহংসজি প্রায়ই মন্তব্য করতেন, “যখন আমি থাকব না এই বইটিই হবে আমার বার্তাবাহক।”
একটি ঘরে-বসে পাঠের পাঠমালা যা আপনার জীবনকে এমনভাবে রূপান্তরিত করে আপনি যা কখনোও কল্পনাও করেননি এবং আপনাকে এক সুশৃঙ্খল ও সফল জীবনযাপন করতে সহায়তা করে।
এই শেয়ার করুন