“যোগানন্দ হিন্দুধর্মকে আমেরিকানদের কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একজন অত্যন্ত উঁচুস্তরের ব্যাখ্যাকার ছিলেন। এমনকি বিদ্বজ্জনদের মধ্যেও তিনি বিশেষভাবে সম্মানিত ছিলেন।”
— টেড সলোমান, রিলিজিয়াস স্টাডিজ-এর অধ্যাপক, আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি (অবসরপ্রাপ্ত) এবং ড্রেক ইউনিভার্সিটি
“যোগানন্দ একজন ঈশ্বর অন্তঃপ্রাণ দ্রষ্টা এবং পুণ্যাত্মা, পরম সত্যের অসংখ্য দৃষ্টিভঙ্গির বহুবিধ উপলব্ধিসম্পন্ন দার্শনিক এবং কবি.... একজন বিরল প্রতিভা যিনি অন্যদের থেকে প্রকটভাবে ঐশ্বরিক অস্তিত্বের রহস্যভেদ করেছেন।”
— রেমন্ড পাইপার, দর্শনের ইমেরিটাস অধ্যাপক, সিরাকিউজ ইউনিভার্সিটি, নিউ ইয়র্ক
“যোগানন্দ একজন প্রসিদ্ধ, নিবিষ্ট, সুমধুর, কাব্যিক, নৈসর্গিক জীবনের এক আনন্দময় পুরুষের প্রতিমূর্তি হয়ে রয়েছেন — যিনি আমেরিকান ধর্মীয় জীবনযাপনের রূপরেখা বদলে দিয়েছেন।”
— রবার্ট এস. এলউড, পিএইচ.ডি., চেয়ারম্যান, স্কুল অফ রিলিজিয়ন, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া
“যথার্থ ‘ঈশ্বরোপলব্ধি’ হলে জানতে পারা যায় ঈশ্বরের সাথে আমাদের অন্তরঙ্গতা কতটা হতে পারে, আর আমাদের সেটা স্মরণ করিয়ে দেওয়াটাই বিশ্বকে দেওয়া পরমহংস যোগানন্দের উপহার।”
— রবার্ট জে. উইকস, পিএইচ.ডি., চেয়ারপার্সন, প্যাস্টোরাল কাউন্সেলিং-এর স্নাতক পাঠ্যক্রম লয়োলা কলেজ, মেরিল্যান্ড
“তিনি একজন মহান মানুষ ছিলেন এবং আমেরিকার সাংস্কৃতিক জীবনে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি ও প্রভাব রেখে গেছেন।”
— ড. দাগোবার্ট রুনস, সভাপতি, ফিলোজফিক্যাল লাইব্রেরি, নিউ ইয়র্ক
“পরমহংস যোগানন্দ পাশ্চাত্যের মানুষের কাছে ভারতের চিরন্তন ঈশ্বরলাভের আশ্বাসই কেবল পৌঁছে দেন, তাই নয়, সমাজের বহুবিধ স্তরের আধ্যাত্মিক অন্বেষীরা সেই চরম অভীষ্টের দিকে যাতে দ্রুত অগ্রসর হতে পারেন তার জন্যে তিনি ব্যবহারিক পদ্ধতিও প্রদান করেন...পাশ্চাত্যে মূলতঃ শুধুমাত্র অতি বিশিষ্ট ও তাত্ত্বিক স্তরে প্রশংসিত ভারতের আধ্যাত্মিক পরম্পরা, সকল আধ্যাত্মিক অন্বেষীর জন্য পরকালে নয় বরং ইহকালে এবং এখন অনুশীলন ও উপলব্ধির জন্য সুলভ্য....সবার নাগালের মধ্যে ধ্যানের উন্নত পদ্ধতি যোগানন্দ পৌঁছে দিয়েছেন।”
— কুইন্সি হাও, জুনিয়র, পিএইচ.ডি., প্রাচীন ভাষার অধ্যাপক, স্ক্রিপস কলেজ, ক্লেয়ারমন্ট, ক্যালিফোর্নিয়া
“আমরা আজ এমন এক যুগ সন্ধিক্ষণে আছি যখন প্রতিটি প্রথাগত শাস্ত্র সকল ধর্মের মানুষের উত্তরাধিকার হতে যাচ্ছে, পক্ষান্তরে এখনও পর্যন্ত এগুলো কেবলমাত্র এক একটি প্রথার মূল্যবান স্বত্ব হয়ে আছে, যেমন জিশুর নীতিমালা খ্রিস্টানদের জন্যে। বিশ্বায়নের প্রীতিপূর্ণতা যত এগিয়ে চলবে, প্রথাগতভাবে কোনো ধর্মমতের অনুসারীদের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যায় অন্য মতের মানুষজন ওই ধর্মশাস্ত্রের উপর মন্তব্য করবে, কোনো ঐতিহ্যের বাইরের মানুষেরা যখন একটি পবিত্র গ্রন্থকে গ্রহণ করে, সেই সংখ্যা সম্ভবত তাদের চেয়েও বেশি হতে পারে যারা সেই ঐতিহ্যের অভ্যন্তরীন সদস্য হিসেবে গ্রন্থটিকে গ্রহণ করছে। আমার মতে পরমহংস যোগানন্দ এমনই এক ভবিষ্যতের অগ্রদূত।”
— ড. অরবিন্দ শর্মা, পিএইচ.ডি., বার্কস প্রফেসর অফ কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন, ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি
“মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক ভাবের প্রশিক্ষণ ও সমন্বয়ে [যোগানন্দের শিক্ষা] আদর্শ....
“মনসংযোগ ও ধ্যানের সরল ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতির মাধ্যমে, জীবনের সবথেকে জটিল সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে আর পৃথিবীতে শান্তি ও সদিচ্ছা আসে। [যোগানন্দের] যথার্থ শিক্ষার পরিকল্পনা সরল সাধারণ জ্ঞান, সকল অতীন্দ্রিয়বাদ ও অবাস্তবতা মুক্ত; অন্যথায় এতে আমার অনুমোদন থাকত না...আমার পরিচিত অন্য যে কোনো কিছুর তুলনায় এটি মানবজাতিকে সুবর্ণ যুগের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারবে।”— লুথার বারব্যাঙ্ক, উদ্যানতত্ত্ববিদ
“পাশ্চাত্য পদ্ধতির সাথে সুপ্রাচীন যোগ পদ্ধতির সুসংহত সমন্বয়ের মাঝে তাঁর শারীরিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধুর্য নিহিত আছে...তিনি শিক্ষার্থীদের সামঞ্জস্যপূর্ণ শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক বিকাশ চেয়েছেন। তিনি চেয়েছেন জ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্র: শিল্প, সাহিত্য ও বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক অধ্যয়নে সাম্প্রতিকতম আবিষ্কারগুলো শিক্ষার্থীদের গোচরে আসুক। তবে তিনি এই ক্ষেত্রেরও একজন পথিকৃৎ। শিক্ষার্থীরা যাতে সমাজের জন্য উপযোগী হয়ে উঠতে পারে সেইজন্য কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা তিনি অনুধাবন করেছিলেন....
“দুঃখের বিষয় এটাই যে আমাদের নেতৃবর্গ সেই সময়ে পরমহংস যোগানন্দের শিক্ষার আদর্শ অন্তর্ভুক্ত করেননি। পঞ্চাশ বছর পরে, কর্মমুখী শিক্ষা ও কর্ম অভিজ্ঞতা অপরিহার্য বলে বিশেষজ্ঞগণ অনুধাবন করেছেন....
“তাঁর পরিকল্পনায় শিক্ষাব্যবস্থার উদ্দেশ্য হল আদর্শ মানুষ গড়ে তোলা, যিনি ইন্দ্রিয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন, যিনি প্রেম, সততা, আন্তরিকতা, সহনশীলতা ও প্রত্যয়ের সার্বজনীন নীতির উদাহরণ হতে পারবেন আর ইচ্ছাশক্তি, আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরশীলতার বিকাশে সক্ষম হবেন।”— ড. তারা মুখার্জি, সহ-উপাচার্য, বিহার বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত
“[পরমহংস যোগানন্দ] এক বিশাল কর্মযজ্ঞ সাধন করেছেন। তিনি আন্তরিক সাধকদের অন্তরীণ গুহ্য জ্ঞান খুঁজে পেয়ে নিজেদের অধ্যাত্ম স্বরূপ উপলব্ধি করতে আর এমনকি তাদের আত্মনিয়ন্ত্রিত হতে সহায়তা করেছেন। আমরা নিশ্চিত যে দুর্দশাগ্রস্ত মানবজাতির জন্য যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া/সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপ তার পবিত্র কর্মযজ্ঞ আরও সংহতভাবে ও সফলতার সঙ্গে চালিয়ে যাবে।”
— অধ্যাপক ভ্লাদিমির নভিকি, প্রাগ, চেকোস্লোভাকিয়া
“আমাদের সময়ের সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ প্রবণতাগুলির মধ্যে একটি হল চেতনা ও পদার্থের মধ্যে সম্পর্কের বিজ্ঞানভিত্তিক বিচারবুদ্ধির ক্রমপ্রকাশ...ডাক্তাররা আর সেইসাথে তাদের রুগীরা নজর রাখতে শুরু করেছেন আমাদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কতটা আমাদের মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। আধুনিক গবেষণার দ্বারা প্রাপ্ত পরিসংখ্যানগত নির্ভুল তথ্যের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের শরীরের অবস্থা শুধুমাত্র শারীরিক বিষয়সমূহের দ্বারা নির্ধারিত হয়—এই বিশ্বাস বর্তমানে দূরীভূত হচ্ছে। ব্যক্তিত্ব, আবেগ এবং জীবনযাত্রার প্রভাব হৃদয় থেকে শুরু করে পাকস্থলী এবং এমনকি রোগ প্রতিরোধক তন্ত্র পর্যন্ত প্রতিটি শারীরিক তন্ত্রের কার্যকারিতার উপর কতটা গভীর, তা এই গবেষণায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। শরীর, মন ও আত্মার আন্তঃসম্পর্ক উন্মোচিত করে এই গবেষণাগুলি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার চিকিৎসায় এক গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং ব্যথার এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে যা পরমহংস যোগানন্দ বহু বছর আগে "সম্যক জীবনযাপন" নীতিগুলির যে শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার অপরিমেয় মূল্য প্রকাশ করে।
“যোগানন্দ এবং অন্যান্যদের কর্মকান্ডের ফলশ্রুতিতে যোগবিজ্ঞানের প্রতি নবায়িত অনুসন্ধিৎসা বিকশিত হয়েছে, বিশেষত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে বেশ কয়েকটি যোগপদ্ধতি রীতিমত গবেষণামূলক অনুশীলনের মাধ্যমে সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যসেবায় প্রয়োগ, বিশেষ করে মনস্তত্ত্বের চিকিৎসা ও দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণাগ্রস্ত রোগীদের তদারকির ক্ষেত্রে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।”— স্টিভেন এফ. ব্রেনা, এম.ডি., রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিনের ক্লিনিক্যাল প্রফেসর, এমোরি ইউনিভার্সিটি; চেয়ারম্যান অফ দ্য বোর্ড, পেন কন্ট্রোল এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন ইনস্টিটিউট অফ জর্জিয়া
“পরমহংস যোগানন্দের জীবন ও কর্ম চিত্তাকর্ষক...সুগন্ধের মতই [তাঁর] সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে...আমেরিকা তথা বিশ্বের দূর দূরান্তরে। তিনি অনেক দেশে যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া/সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপ-এর ছত্রছায়ায় অসংখ্য ধ্যানকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর সৃষ্ট আশ্রম, মন্দির ও কেন্দ্রগুলি ভারতের মহতী যোগবিজ্ঞান চর্চার পবিত্র স্থান....
“এই আধুনিক যুগে, পাশ্চাত্যের বস্তুবাদিতা সত্ত্বেও অসংখ্য মানুষ প্রাচ্যের যোগী পরমহংস যোগানন্দের আধ্যাত্মিক সাধনায় এত আগ্রহ দেখিয়েছেন। অস্থির মানব মনের জন্য মহৎ ঋষিদের মরমীবাদে আশার প্রতিশ্রুতি এবং এক গভীর আবেদন আছে। এইভাবে অনেকেই পরমহংস যোগানন্দের জীবন থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন....
“সাধারণভাবে মনে করা হোত যে জঙ্গলে ও পর্বতের গুহায় নির্জনে থাকা তপস্বীদের জন্যেই ক্রিয়াযোগের মতো অধ্যাত্মবিজ্ঞানের চর্চা সীমাবদ্ধ। পৃথিবীর যে কোনো জায়গার সাধারন পারিবারিক জীবনযাপন করা ব্যক্তিও যে সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক অনুগ্রহের সাথে ক্রিয়াযোগ পেতে পারে ও অনুশীলন করতে পারে সেটা দেখানোই পরমহংস যোগানন্দের উদ্দেশ্য ছিল। তিনি মানবজাতির অনন্য সেবা করেছেন।”— ড. আশুতোষ দাস, এম.এ., পিএইচ.ডি., ডি. লিট., অধ্যাপক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়