ধ্যানের ক্রিয়াযোগ মার্গ

Lighted Smriti Mandir, Ranchi

“হাজার হাজার বছর ধরে ভারতের যোগী ও ঋষিদের এবং জিশুর জ্ঞাত ধ্যানের সুনির্দিষ্ট বিজ্ঞানের প্রয়োগে যে কোনো ঈশ্বরসন্ধানী তার চৈতন্যের ধীশক্তির অপার জ্ঞান মুক্ত করে আত্মমধ্যে পরমাত্মার সর্বজনীন সর্বজ্ঞতা লাভ করতে পারে।”

— পরমহংস যোগানন্দ

আমাদের অকৃত্রিম ও স্থায়ী আনন্দ আনার জন্য — প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতা, নিরাপত্তা, সুখ, নিঃশর্ত প্রেম কি সত্যই পাওয়া সম্ভব?

আমাদের সত্তার মাঝে দেবত্বের উপলব্ধি, নিজের আনন্দরূপে দিব্য আনন্দ অর্জন করা — এটাই পরমহংস যোগানন্দের ক্রিয়াযোগ শিক্ষা আমাদের প্রত্যেককে দিতে চায়।

ধ্যানের উন্নত প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে ক্রিয়াযোগের পবিত্র বিজ্ঞান গঠিত যার একনিষ্ঠ চর্চা ঈশ্বর উপলব্ধি ও সমস্তরকম বন্ধন থেকে আত্মিক মুক্তির পথে চালিত করে। পরমাত্মার সঙ্গে মিলনের, এটি রাজযোগ বা যোগের মহত্তম প্রক্রিয়া। (পড়ুন “হোয়াট ইজ য়োগা, রিয়্যালি?”)

ক্রিয়াযোগের ইতিহাস

ভারতের জ্ঞানী ঋষিরা দীর্ঘবিস্মৃত অতীতে ক্রিয়াযোগের আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছেন। ভগবান কৃষ্ণ ভগবত গীতায় এর উচ্চপ্রশংসা করেছেন। ঋষি পতঞ্জলি তাঁর যোগসূত্র-তে এর কথা বলেছেন। পরমহংস যোগানন্দ বলেছেন এই প্রাচীন ধ্যানের পদ্ধতি জিশু খ্রিস্ট, এমনকি তাঁর শিষ্য সেন্ট জন, সেন্ট পল ও অন্যদেরও জানা ছিল।

অন্ধকার যুগে শতাব্দীর পর শতাব্দী হারিয়ে যাওয়া ক্রিয়াযোগকে আধুনিক কালে মহাবতার বাবাজি পুনঃপরিচিত করান, তাঁর শিষ্য লাহিড়ী মহাশয় (১৮২৮–১৮৯৫) আমাদের যুগে প্রথম খোলাখুলিভাবে এর শিক্ষা দেন। পরবর্তীকালে বাবাজি, পরমহংস যোগানন্দকে শিক্ষাদানের জন্য লাহিড়ী মহাশয়ের শিষ্য স্বামী শ্রীযুক্তেশ্বর গিরি-কে (১৮৫৫–১৯৩৬) আদেশ দেন আর আত্ম-দর্শনের এই প্রক্রিয়া বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে পাশ্চাত্যে পাঠান।

পরমহংস যোগানন্দকে তাঁর পূজনীয় গুরু পরম্পরা সমগ্র বিশ্বের অন্বেষীদের জন্য ক্রিয়াযোগের সুপ্রাচীন বিজ্ঞান উপলব্ধ করানোর জন্য মনোনীত করেন, আর এই উদ্দেশ্যেই তিনি ১৯১৭-তে যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া এবং ১৯২০-তে সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপ প্রতিষ্ঠা করেন।

পূর্বে শুধুমাত্র সামান্য কিছু নিষ্ঠাবান সংসারত্যাগী একান্তবাসি সন্ন্যাসীর জন্য উপলব্ধ থাকা সুপ্রাচীন ক্রিয়াবিজ্ঞান ভারতের এই মহতীজনেরা পরমহংস যোগানন্দ ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত আধ্যাত্মিক সংস্থা (ওয়াইএসএস/এসআরএফ)-এর মাধ্যমে এখন সারা বিশ্বের সকল প্রকৃত অন্বেষীদের কাছে উপলব্ধের সহায়ক হয়েছেন।

Mahavatar Babaji Altar photo
lahiri mahasaya altar photo
Swami Sri Yukteswar Altar photo
Paramahansa Yogananda Alter kriya yoga

যোগানন্দ লিখেছেন: “১৯২০-তে আমেরিকা আসার আগে আশীর্বাদ প্রদান করে মহাবতার বাবাজি আমাকে বলেছিলেন, আমি এই পুণ্য কাজে মনোনীত হয়েছি: ‘পাশ্চাত্যে ক্রিয়াযোগের বার্তা ছড়িয়ে দিতে আমি তোমাকে মনোনীত করেছি। বহুপূর্বে এক কুম্ভমেলায় আমার তোমার গুরু যুক্তেশ্বরের সাথে দেখা হয়েছিল; তখন আমি প্রশিক্ষণের জন্য তাঁর কাছে তোমাকে পাঠাব বলেছিলাম।’ তখন বাবাজি ভবিষ্যতবাণী করে বলেছিলেন: ‘পরিশেষে দেশে দেশে ঈশ্বর উপলব্ধির বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্রিয়া, ক্রিয়াযোগ ছড়িয়ে পড়বে এবং মানুষের ব্যক্তিগত ও পরমপিতার তুরীয় উপলব্ধি জাতিগুলির মিলনে সহায়ক হবে।’ ”

ক্রিয়াযোগ বিজ্ঞান

যোগসাধনার লক্ষ্যে পৌঁছোতে দ্রুততম ও সব থেকে কার্যকরী পথে প্রযুক্ত ধ্যানের পদ্ধতি সমূহ সরাসরি জীবনীশক্তি ও চৈতন্যের সাথে কার্যরত। এটাই সরাসরি পন্থা যা পরমহংস যোগানন্দের নির্দেশিত এই বিশেষ ধ্যান পদ্ধতিকে নির্দেশ করে। বিশেষত ক্রিয়া হল শরীরে জীবনীশক্তির সূক্ষ্ম প্রবাহকে শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত করে হৃদপিন্ড ও ফুসফুসের সাধারণ ক্রিয়াকে স্বাভাবিকভাবে মন্থর করতে সক্ষম এক উচ্চতর রাজযোগ পদ্ধতি। ফলস্বরূপ, চেতনা ধারণার আরও উঁচু স্তরে ওঠে, ধীরে ধীরে অন্তর জাগরণে মন বা ইন্দ্রিয়জ বা সাধারণ মানবিক আবেগ যে অভিজ্ঞতা দিতে পারে, তার থেকে আরও বেশি আনন্দদায়ক এবং গভীর পরিতৃপ্তি নিয়ে আসে। সমস্ত শাস্ত্রই মানুষকে এক ক্ষয়শীল শরীরমাত্র নয়, এক প্রাণময় আত্মা বলে ঘোষণা করেছে। ক্রিয়াযোগের সুপ্রাচীন বিজ্ঞান শাস্ত্রের এই সত্যতা উদ্ঘাটিত করেছে। ক্রিয়াযোগ বিজ্ঞানের একনিষ্ঠ অনুশীলনের নিশ্চিত ও পদ্ধতিগত কার্যদক্ষতা উল্লেখ করে পরমহংস যোগানন্দ প্রকাশ করেছেন: “এটা অঙ্কের মতো কাজ করে; ব্যর্থ হতে পারে না।”

ক্রিয়াযোগ মার্গের ধ্যান প্রক্রিয়া

‘ঈশ্বর তাঁর অপর্যাপ্ত উপহার দেবার জন্য ইচ্ছুক গ্রহিতাদের সন্ধান করেন…।’ এটা সবচেয়ে সুন্দর আর আমি এটাই বিশ্বাস করি। তাঁর উপহার দেবার জন্য ঈশ্বর ইচ্ছুক সত্তার সন্ধান করেন। তিনি আমাদের সব দেবার জন্য প্রস্তুত, তবে আমরা গ্রহণক্ষম হবার জন্য উদ্যোগী হতে ইচ্ছুক নই।”

পরমহংস যোগানন্দ তাঁর অটোবায়োগ্রাফি অফ এ য়োগি -তে ক্রিয়াযোগের বিবরণ দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে প্রাথমিক অবস্থায় পরমহংস যোগানন্দের শিক্ষার তিনটি প্রারম্ভিক প্রক্রিয়ার অধ্যয়ন ও অনুশীলনের পরে এই প্রক্রিয়াটি যোগদা সৎসঙ্গ লেসন্স-এর শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।

সর্বাঙ্গীণ পদ্ধতি বলে যুগপৎ মেনে নেওয়া এই ধ্যান প্রক্রিয়া অনুশীলনকারীকে সুপ্রাচীন যোগ বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ লাভ এবং ঐশ্বরিক লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম করে।

১. শক্তিসঞ্চার ব্যায়াম

ধ্যানের জন্যে শরীরকে উপযুক্ত করে তুলতে ১৯১৬-তে পরমহংস যোগানন্দ এক মনোদৈহিক অনুশীলনক্রম প্রস্তুত করেন। নিয়মিত এই অনুশীলন মানসিক ও শারীরিক উদ্বেগমুক্তি ও সুদৃঢ় ইচ্ছাশক্তি বর্ধিত করে। এই প্রক্রিয়া শ্বাস-প্রশ্বাস, প্রাণবায়ু ও কেন্দ্রীভূত মনোযোগ ব্যবহার করে সচেতনভাবে শরীরকে অফুরন্ত তেজ আকর্ষণ করতে সক্ষম করে উত্তরোত্তর সকল অঙ্গকে পরিশুদ্ধ ও শক্তিশালী করে তোলে। প্রায় ১৫ মিনিটব্যাপী সঞ্চালিত এই শক্তিসঞ্চার ব্যায়াম, চাপ ও স্নায়বিক উত্তেজনা দূর করার এক বিশেষ নির্ভরযোগ্য উপায়। শান্ত, অন্তরস্থ সচেতনতার অবস্থায় প্রবেশ করতে ধ্যানের আগে এই অনুশীলন বিশেষ সহায়ক।

২. মনঃসংযোগের হং-স প্রক্রিয়া

মনঃসংযোগের হং-স প্রক্রিয়া মনোনিবেশের প্রচ্ছন্ন ক্ষমতাকে বিকশিত করে। এই প্রক্রিয়ার অনুশীলনের মাধ্যমে বহির্মুখী বিক্ষেপ থেকে চিন্তা ও শক্তি প্রত্যাহার করে অনুশীলনকারী যে কোনও লক্ষ্য অর্জন বা সমস্যার সমাধানের ওপর নিমগ্ন হতে শেখে। অথবা বলা যায় অনুশীলনকারী নিবিষ্ট মনঃসংযোগকে অন্তরে ঈশ্বর উপলব্ধির চেতনার দিকে পরিচালিত করতে পারে।

ভগবান কৃষ্ণ ও ক্রিয়াযোগ

পরমহংস যোগানন্দের এক বিশেষ উদ্দেশ্য হল “ভগবান কৃষ্ণের শেখানো আদি যোগ আর জিশু খ্রিস্টের শেখানো মূল খ্রিস্টধর্মের পরিপূর্ণ সমন্বয় ও মৌলিক একত্ব প্রকাশ; আর এইসকল সত্যের নীতি সকল প্রকৃত ধর্মের সাধারণ বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি তা দেখানো।”

“অন্যান্য ভক্তগণ প্রশ্বাস অর্থাৎ প্রাণকে নিঃশ্বাসে অর্থাৎ অপানে আহুতি দিয়ে এবং নিঃশ্বাস অর্থাৎ অপানকে প্রশ্বাস অর্থাৎ প্রাণে আহুতি দিয়ে, অনন্য চিত্তে প্রাণায়ামের (ক্রিয়াযোগের প্রাণ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া) অভ্যাসে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রবাহের কারণকে (অপ্রয়োজনীয় শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবেশনা) প্রতিহত করে।”.

—গড টকস উইথ অর্জুন দ্য ভগবত গীতা, ৪: ২৯

৩. ওম প্রক্রিয়া

ধ্যানের ওম প্রক্রিয়া দেখায় কিভাবে মনঃসংযোগের শক্তিকে সর্বোচ্চ উপায়ে ব্যবহার করে নিজের প্রকৃত সত্ত্বার ঐশ্বরিক গুণাবলির উদঘাটন ও উন্নত করা যায়। এই সুপ্রাচীন পদ্ধতি শেখায়, সর্বব্যাপী ঐশ্বরিক উপস্থিতি যা ওম, শব্দ অথবা পবিত্র আত্মা যা অন্তর্নিহিত সকল সৃষ্টির ধারক তা কিভাবে উপলব্ধি করা যায়। এই প্রক্রিয়া শরীর ও মনের সীমাবদ্ধতার অতীত অসীম অব্যক্ত আনন্দময় উপলব্ধিকে বিস্তৃত করে।

৪. ক্রিয়াযোগ প্রক্রিয়া

ক্রিয়া প্রাণায়ামের (প্রাণশক্তির নিয়ন্ত্রণ) এক উন্নত রাজযোগ প্রক্রিয়া। মেরুদন্ড ও মস্তিষ্কে জীবনীশক্তির (প্রাণ) সূক্ষ্ম প্রবাহকে ক্রিয়া শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত করে। ভারতের প্রাচীন সিদ্ধপুরুষগণ (ঋষি) মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ডকে জীবনবৃক্ষ রূপে উপলব্ধি করেছেন। প্রাণ ও চৈতন্যের সূক্ষ্ম সুষুম্না কেন্দ্র (চক্র) হতে প্রবাহিত শক্তি স্নায়ুমন্ডলি, অঙ্গসমূহ ও কোশসমূহকে সজীব করে। যোগী আবিষ্কার করে ক্রিয়াযোগের বিশেষ পদ্ধতিতে ক্রমাগত মেরুদণ্ডে প্রাণশক্তির ওপর-নিচে আবর্তনে আধ্যাত্মিক ক্রমোন্নতি ও সচেতনতাকে প্রবলভাবে উত্তোরত্তর বৃদ্ধি করা যায়।

ক্রিয়াযোগের যথাযথ অনুশীলনে হৃৎপিন্ড, ফুসফুস ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রকৃতিগতভাবে মন্থর হয়ে, শরীর ও মনে গভীর অন্তরস্থ নিশ্চলতা তৈরি করে চিন্তা, আবেগ ও ইন্দ্রিয়জ অনুভূতির স্বভাবসিদ্ধ আলোড়ন থেকে মনোযোগ মুক্ত করে। এই অন্তর্মুখী নিশ্চলতার নির্মলতায় এক গভীরতর অন্তরস্থ শান্তি এবং নিজ সত্ত্বা ও ঈশ্বরের একত্বের অভিজ্ঞতা লাভ হয়।

7 chakras in human bodyক্রিয়াযোগ কি ভাবে শিখবেন​

যোগদা সৎসঙ্গ পাঠমালার জন্য আবেদন করাটা প্রাথমিক পদক্ষেপ। প্রথম বছরে ঘরে-বসে পাঠের সময় শিক্ষার্থীরা ধ্যানের তিনটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া (ওপরে বর্ণিত) ও পরমহংসজির সম্যক আধ্যাত্মিক জীবনযাপনের তত্ত্ব শিক্ষা করে।

এই ক্রমপর্যায়ে উপস্থাপনের এক অভিপ্রায় আছে। হিমালয়ের চূড়ায় উঠতে চাওয়া পর্বতারোহীকে আগে নিজেকে অবশ্যই মানানসই ও অভিযোজিত করে নিতে হয়। সেইরকম, সাধককে প্রথমে তার অভ্যাস ও চিন্তাধারা অভিযোজিত করে, একাগ্রতা ও ভক্তিতে মন নিয়ন্ত্রিত রাখতে এবং শরীরের জীবনীশক্তিকে পরিচালিত করতে এই প্রাথমিক সময়কালের প্রয়োজন হয়। অতঃপর যোগী উপলব্ধির মেরুদন্ডীয় রাজপথে চড়ার উপযুক্ত হয়। এক বছরের প্রস্তুতি ও অনুশীলনের পর, শিক্ষার্থী ক্রিয়াযোগ প্রক্রিয়ার দীক্ষার জন্য আবেদন করার যোগ্য হয় আর আনুষ্ঠানিকভাবে পরমহংস যোগানন্দ এবং তাঁর জ্ঞানদীপ্ত গুরুকুলের সাথে চিরসম্মানিত গুরু-শিষ্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়।

আপনি এখনও যোগদা সৎসঙ্গ পাঠমালার জন্য নথিভুক্ত না হয়ে থাকলে এই পৃষ্ঠাতে কিছু ধ্যান করার প্রাথমিক নির্দেশাবলি পাবেন যাতে ধ্যানের উপকারিতার অভিজ্ঞতা পেতে আপনি এখনই শুরু করতে পারেন।

ক্রিয়াযোগ: অন্তর্জগত ও বহির্জগতের আলোড়নের উত্তর

নিচে উল্লিখিত ভিডিওটিতে ওয়াইএসএস/এসআরএফ-এর অধ্যক্ষ ও আধ্যাত্মিক প্রধান, স্বামী চিদানন্দ গিরি ক্রিয়াযোগের রূপান্তরকারী শক্তির সমীক্ষা করেছেন, বহির্জগতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মোকাবিলা করার সময়ও এই অনুশীলন আমাদের অন্তর্জগতে শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। জানুন, কিভাবে এই সুপ্রাচীন প্রক্রিয়া আপনাকে নিষ্পেষণ ও উৎকণ্ঠাকে অতিক্রম করতে সাহায্য করে, আরও বেশি সমতা, নির্মলতা আর অন্তঃস্থিত দিব্য নিশ্চয়তায় জীবনযাপনে সক্ষম করে।

Kriya-yoga-the-answer-to-inner-and-outer-turmoils-by-sri-sri-swami-chidananda-giri
Devotee Meditating in Smriti Mandir, Ranchi

গুরু-শিষ্য পরম্পরা

যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি-র দীক্ষা (ইনিসিয়েশন) হল ক্রিয়াযোগ। ক্রিয়াদীক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থী, পরমহংস যোগানন্দকে নিজ গুরু (আধ্যাত্মিক নির্দেশক) স্বীকার করে পবিত্র গুরু-শিষ্য পরম্পরায় প্রবেশ করে। গুরু-শিষ্য পরম্পরা সম্বন্ধে আরও জানুন।

ক্রিয়াযোগ সম্বন্ধে আরও জানুন

Eyes of God seeing Devotee in Prayer

পরমহংস যোগানন্দের রচনা ও বক্তৃতা থেকে ক্রিয়াযোগের সুফল সম্বন্ধে আরও জানুন।

Paramahansa Yogananda

আত্মমুক্তির সর্বশ্রেষ্ঠ প্রক্রিয়া ক্রিয়াযোগের প্রকৃতি, ভূমিকা ও কার্যকারিতা সম্বন্ধে পরমহংস যোগানন্দের রচনা থেকে নির্বাচিত অংশবিশেষ।

Kriya Yoga Changes Your Brain Cells

আরও জানুন ক্রিয়াযোগ কিভাবে বিরুদ্ধ অভ্যাস জয় করার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি সহ মস্তিষ্কে কল্যাণকর পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে।

150 Years of Kriya Yoga

২০১১-তে এসআরএফ/ওয়াইএসএস ক্রিয়াযোগের পুনঃপ্রবর্তনের ১৫০তম বর্ষপূর্তির স্মারক উৎসব পালন করে।

Cotton Tree depicting tree of Kriya Yoga

পরমহংস যোগানন্দের আশীর্বাদপুষ্ট মানবাত্মার এই পবিত্র বিজ্ঞানের বিশ্বব্যাপী বিস্তারে কয়েক হাজার মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

এই শেয়ার করুন