যোগদা সৎসঙ্গ শাখা মঠ
রাঁচি, ঝাড়খণ্ড
শতাধিক বর্ষ ধরে ওয়াইএসএস, তার প্রতিষ্ঠাতা, পরমহংস যোগানন্দজির আধ্যাত্মিক ও জনহিতকর কার্যসমূহ সম্পাদন করে চলেছে। ১৯১৮-তে যোগানন্দজি রাঁচিতে আশ্রম ও ছেলেদের জন্য ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শুরু করলেন তাঁর জীবনের কাজ, ক্রিয়াযোগের সর্বজনীন শিক্ষাকে সহজলভ্য করা।
তাঁর আধ্যাত্মিক স্পন্দনে আকীর্ণ, উজ্জ্বল হরিতবর্ণ উদ্যান পরিবেষ্টিত আশ্রমের পবিত্র পরিবেশে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাই। আশ্রমে দৈনিক সমবেত ধ্যান, একক বা দলগত নিভৃতাবাস, সাধনা সঙ্গম, বিশেষ অনুষ্ঠান, বা ওয়াইএসএস সন্ন্যাসীদ্বারা পরিচালিত সাপ্তাহিক সৎসঙ্গে যোগদান করুন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শান্ত পরিবেশে নিজেকে নিমজ্জিত করুন, আপনার মন ও আত্মা এতে সতেজ হতে বাধ্য। এখানে আপনি আমাদের সন্ন্যাসীদের থেকে ওয়াইএসএস শিক্ষার অধ্যয়ন এবং অনুশীলনে আধ্যাত্মিক পরামর্শ ও নির্দেশনা পাবেন।
আশ্রম চত্বরে গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র স্থান সমূহ
পরমহংস যোগানন্দের কক্ষ
রাঁচি আশ্রমে (১৯১৮ থেকে ১৯২০) যে কক্ষটিতে মহান গুরুদেব থাকতেন, তা এখন মন্দির রূপে সংরক্ষিত। আশ্রমের পুরাতন প্রশাসন ভবনে এটি অবস্থিত। প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু সময় ব্যক্তিগত ধ্যানের উদ্দেশ্যে সকলের জন্য এটি উন্মুক্ত থাকে। এখানে ধ্যান করে ভক্ত ও দর্শনার্থীগণ প্রভূত উন্নতি অনুভব করেন। পরমহংস যোগানন্দজির ব্যবহৃত তক্তাপোশটি ছাড়াও কক্ষটিতে প্রদর্শিত রয়েছে গুরুদেবের হাতের ও পায়ের ছাপ। এ ছাড়াও কক্ষের বাইরে গুরুদেবের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত কিছু জিনিসপত্রও প্রদর্শন করা হয়েছে। বিশদে জানুন






লিচু বেদি
রাঁচি আশ্রমে পরমহংস যোগানন্দজির সঙ্গে যুক্ত পবিত্র স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম একটি স্থান, লিচু বেদি। এই বিশাল লিচু বৃক্ষের ছায়ার আচ্ছাদনে মহান গুরু তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্যে প্রায়শই বহিরাঙ্গন ক্লাস ও সৎসঙ্গের আয়োজন করতেন। স্থানটি তাঁর আধ্যাত্মিক স্পন্দনে পবিত্র হওয়ায় এই লিচুবৃক্ষটি তার শাখাপ্রশাখার তলদেশে প্রতিষ্ঠিত পরমহংসজির সুবৃহৎ আলোকচিত্র সহ, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের নিকট তীর্থযাত্রা ও ধ্যানের এক প্রিয় স্থান হয়েছে। বিশদে জানুন
স্মৃতি মন্দির
১৯২০-তে একদিন ধ্যান করার সময় পরমহংসজির এক দিব্য দর্শন হয়, তিনি আমেরিকা যাওয়ার আদেশ পান। তাঁর ‘অটোবায়োগ্রাফি অফ এ য়োগি’/(যোগী-কথামৃত) পুস্তকে এই মহিমময় অভিজ্ঞতার বর্ণনায় লিখছেন: “আমার রাঁচি বিদ্যালয়ের ভাঁড়ার ঘরে কতকগুলো ধুলোমাখা বাক্সর পিছনে বসে আছি, ধ্যানে ডুবে আছি… স্বপ্ন তখনো ভাঙেনি; এক বিরাট জনতা আমার মুখের দিকে আগ্রহের সঙ্গে তাকাতে তাকাতে আমার জ্ঞানমঞ্চে অভিনেতাদের মতো একে একে চলে যেতে লাগল। মানসপটে পশ্চিমী এই লোকেদের মুখের চলমান পরিদৃশ্য থেকে ধারণা হল “আরে এ তো আমেরিকা, এরা নিশ্চয়ই আমেরিকান!”
ঠিক ওই জায়গাটিতে, যেখানে পূর্বে ভাঁড়ার ঘর ছিল, সেখানে বিশ্বব্যাপী মিশনের প্রথম পদক্ষেপের স্মৃতিস্বরূপ ১৯৯৫-তে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিমন্দির। মন্দিরটি সারাদিন উন্মুক্ত রাখা থাকে, ভক্ত এবং দর্শনার্থীগণ ব্যক্তিগত ভাবে ওখানে ধ্যান করতে পারেন। বিশদে জানুন





ধ্যান মন্দির
ওয়াইএসএস সন্ন্যাসীগণ সকাল ও সন্ধ্যায় ধ্যান মন্দিরে সমবেত ধ্যান পরিচালিত করেন। ২০০৭ এ যোধপুর মার্বেল পাথরে তৈরি এই প্রশস্ত হলঘরটিতে ৩০০-র বেশি ভক্ত একসঙ্গে স্বচ্ছন্দে বসতে পারেন। প্রতিদিন কতক্ষণ মন্দির খোলা থাকবে এবং সমবেত ধ্যানের সময় এখানে জানানো হল। বিশদে জানুন
ধ্যান বিতান
আশ্রম প্রাঙ্গণের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন জাতের গাছ-গাছালি ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য। ছায়া সুনিবিড় আম্রকানন, সারিবদ্ধ কাঁঠালগাছের মাঝ বরাবর রাস্তা, চিরহরিৎ লিচু বৃক্ষ, সুরুচিসম্পন্ন সুসজ্জিত বেণুবন – সব মিলিয়ে যেন এক আধ্যাত্মিক মরূদ্যান, যা বিশ্বের ক্লান্ত-শ্রান্ত আত্মাদের শান্তি ও আনন্দের পরশমণির পরশ পেতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। যে কেউ অনুভব করবেন, পার্থিব যত্ন-আত্তি ছেড়ে এখানে শরীর, মন ও আত্মার শ্রান্তি অপনোদন করা অনেক সহজ। বেশ কয়েকটি বেঞ্চ পাতা আছে, সেখানে বসে ধ্যান করুন,মনের গহনে যান; অথবা, শুধু শান্ত হয়ে বসুন আর এই পবিত্র বাতাবরণের প্রশান্তিতে নিজেকে নিমজ্জিত করুন। বিশদে জানুন


রাজর্ষি জনকানন্দকে লেখা এক চিঠিতে গুরুদেব লিখেছিলেন,
আমার আধ্যাত্মিক উপলব্ধির অদৃশ্য অমৃতসুধার অধিকাংশটাই ছড়িয়ে দিয়েছি মাউন্ট ওয়াশিংটন [লস এঞ্জেলস, ক্যালিফোর্নিয়া-তে সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপ এর আন্তর্জাতিক সদর দপ্তর] ও রাঁচিতে…
সাপ্তাহিক কার্যক্রম
রাঁচি আশ্রম সর্বসাধারণের জন্যে নিয়মিত ধ্যান ও সৎসঙ্গের আয়োজন করে। এই সময় নীরব ধ্যান, ভজন এবং অনুপ্রেরণাদায়ী পাঠ করা হয়।
- রবিবার
- সকাল ১০:৩০ – দুপুর ১২:০০
- রবিবারের সৎসঙ্গ (সংক্ষিপ্ত ধ্যান)
- বিকেল ৪:০০ – সন্ধ্যা ৭:৩০
- সান্ধ্য ধ্যান
- বৃহস্পতিবার
- সকাল ৭:০০ – ৮:০০
- প্রাতঃকালিন ধ্যান
- সন্ধ্যা ৬:০০ – রাত ৯:০০
- সান্ধ্য ধ্যান
- অন্যান্য দিন
- সকাল ৭:০০ – ৮:০০
- প্রাতঃকালিন ধ্যান
- সন্ধ্যা ৬:০০ – ৭:৩০
- সান্ধ্য ধ্যান
রাঁচি আশ্রমে প্রতি রবিবার শিশুদের জন্য সাপ্তাহিক সৎসঙ্গ পরিচালনা করা হয়। এখানে ৫ থেকে ১২ বছরের ছোটো ছেলেমেয়েরা নানা উৎসাহমূলক কার্যকলাপ, যেমন, গল্প বলা, নির্দেশিত স্বল্পকালীন ধ্যান এবং বিভিন্ন রকম শিক্ষা পদ্ধতি দ্বারা ওয়াইএসএস পাঠক্রম শিক্ষা এবং স্বতঃ প্রণোদিত হয়ে কাজ করতে শেখে। বিশদে জানুন
- রবিবার
- সকাল ১০:৩০ – দুপুর ১২:০০
ওয়াইএসএস সাধনা সঙ্গম

চারদিন ব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে যোগদা সৎসঙ্গ শিক্ষানুসরণকারী শিক্ষার্থীদের এক অসাধারণ সুযোগ দেওয়া হয়। ওয়াইএসএস সন্ন্যাসী দ্বারা শেখানো ধ্যান প্রক্রিয়ার অভ্যাস, সমবেত ধ্যান, কীর্তন সমাবেশ এবং উদ্দীপক আলোচনার মাধ্যমে তারা পরমহংস যোগানন্দের শিক্ষাতে নিজেদেরকে গভীরভাবে নিমজ্জিত করতে পারে।
জানুয়ারি – ডিসেম্বর, ২০২৪ • নানাবিধ কর্মসূচি • পাঁচটি জায়গা
সাম্প্রতিক কার্যাবলীর ঘোষণা সংক্রান্ত খবরাখবর জানতে ওয়াইএসএস ই-নিউজ সাইন-আপ করুন
আগামি বিশিষ্ট ঘটনাবলি এবং দীর্ঘকালীন ধ্যান

- আগস্ট 10, রবিবার
- সকাল 10:00 - সন্ধ্যা 6:00
- সমবেত ধ্যান

- আগস্ট 16, শনিবার
- সকাল 6:30 - সকাল 8:00
- প্রাতঃকালিন ধ্যান
- সকাল 9:30 - সকাল 11:30
- গুরু পূজা
- সন্ধ্যা 7:30 - রাত 10:30
- সান্ধ্যকালিন ধ্যান

- সেপ্টেম্বর 26, শুক্রবার
- সকাল 6:30 - সকাল 8:00
- প্রাতঃকালিন ধ্যান
- সন্ধ্যা 6:00 - রাত 8:00
- সান্ধ্যকালিন ধ্যান
সংবাদ - চিত্রাদি প্রদর্শন কক্ষ
আপনার সফরের পরিকল্পনা করুন

আমরা আপনাকে স্বাগত জানাই সমবেত ধ্যানে যোগদান করতে, বা আশ্রম উদ্যানের প্রশান্তি উপভোগ করতে; অথবা যোগানন্দজির সঙ্গে যুক্ত পবিত্র স্থানগুলিতে তীর্থযাত্রায়। আপনি আশ্রম প্রাঙ্গণের নির্দেশিত সফরে আগ্রহী হলে সময় নির্ধারণের জন্য দয়া করে আমাদের অভ্যর্থনা ডেস্কে যোগাযোগ করুন।
বি.দ্র.: সকল দর্শনার্থীদের জন্য আশ্রম প্রাঙ্গণ প্রতিদিন সকাল ৯:০০ থেকে বিকেল ৪:৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে।
ওয়াইএসএস ও এসআরএফ পাঠমালার শিক্ষার্থীরা আশ্রমে পাঁচদিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। শক্তিসঞ্চারক ও পুনরুজ্জীবিতকরণে আমরা ভক্তদের ব্যক্তিগত বা পরিচালিত নিভৃতাবাসে যোগদান করতে উৎসাহ দিই। এই নিভৃতাবাসে থাকাকালীন আপনারা ওয়াইএসএস সন্ন্যাসী দ্বারা পরিচালিত সমবেত ধ্যানে দুবেলা অংশগ্রহণ করতে পারেন; যোগদা সৎসঙ্গ পাঠক্রমের অধ্যয়ন ও অভ্যাসের ব্যাপারে আধ্যাত্মিক পরামর্শ এবং নির্দেশনা পেতে পারেন।
আপনি যদি ওয়াইএসএস লেসন্স এর সদস্য না হন, বা আশ্রমের পরিবর্তে নিকটবর্তী কোনো হোটেলে থাকতে পছন্দ করেন, তাহলে এখানে দেওয়া হোটেলের তালিকা দেখুন।