
“প্রার্থনা হল আত্মার দাবি। পরমপিতা আমাদের ভিক্ষুক তৈরী করেন নি; তিনি তাঁর নিজের রূপেই আমাদের সৃষ্টি করেছেন…ভিক্ষুক ধনীগৃহে গিয়ে ভিক্ষা চাইলে তার অংশমাত্র ভিক্ষা পায়; কিন্তু পুত্র তার বিত্তশালী পিতার থেকে যা চায় তাই পেতে পারে…
“সুতরাং আমাদেরও ভিক্ষুকের মতো আচরণ করা অনুচিত। আমরা ঈশ্বরের স্বরূপেই সৃষ্ট একথা বলার সময় খ্রিস্ট, কৃষ্ণ বা বুদ্ধের মতো অবতারপুরুষরা মিথ্যে কথা বলেন নি।”
—পরমহংস যোগানন্দ
শ্রীশ্রী পরমহংস যোগানন্দের রচনা থেকে উদ্ধৃত অংশবিশেষ
ভারতের প্রাচীন বিজ্ঞানী ঋষিগণ আবিষ্কার করেছিলেন প্রেমময় পরমপিতার সাথে কিভাবে আনন্দপূর্ণ এক দুর্বার মিলন উপলব্ধি করা যায়। পরমহংস যোগানন্দ আমাদের শিখিয়েছেন ধ্যানের যোগবিজ্ঞান ও নতুন ধারার প্রার্থনার মাধ্যমে কিভাবে আমরা সেই প্রত্যক্ষ দিব্য অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারি। তিনি লিখেছেন:
“প্রার্থনা’-র থেকে ‘দাবি’ শব্দটা আমি বেশি পছন্দ করি কারণ এতে সেকেলে ও মধ্যযুগীয় স্বৈরাচারী ঈশ্বরের ধারণা নেই, যাকে আমাদের ভিখারির মতো কাকুতি মিনতি আর তোষামোদ করতে হয়। সাধারণ প্রার্থনায় অত্যধিক ভিক্ষাবৃত্তি আর অজ্ঞানতা আছে…খুব কম লোকই জানে কিভাবে প্রার্থনা করতে হয় আর তাদের প্রার্থনায় পরমপিতাকে অনুভব করা যায়।”

“পরমপিতার কাছে দাবি তাঁর থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া তোমার দিব্য অধিকার; তুমি তাঁর নিজের অংশ তাই তিনি উত্তর দেবেন। তুমি যদি তাঁকে নিরন্তর ডাকতে থাকো, তিনি তোমার ভক্তির জাল এড়াতে পারেন না। তোমার প্রার্থনার আলোয় আকাশ মথিত হয়ে যাওয়া পর্যন্ত যদি প্রার্থনা করতে পারো, তবেই তুমি ঈশ্বরকে খুঁজে পাবে।”

আমার প্রার্থনা কীভাবে অন্যদের সাহায্য করতে পারে?
শ্রী দয়ামাতা
সময়: ৪:২৬ মিনিট
এই কঠিন সময়ে প্রার্থনার শক্তির সাহায্যে — শুধুমাত্র নিজেদের জন্যই নয় বরং আমাদের পরিবার, আমাদের বন্ধুবান্ধব, আমাদের প্রতিবেশী এবং বিশ্বের জন্য আমরা অনেক কিছু করতে পারি।
যোগদা সৎসঙ্গ পাঠমালা থেকে আপনি যোগের ফলপ্রদ প্রার্থনা প্রক্রিয়া শিখতে পারেন আর পরমপিতার সাথে আপনার একান্ত নিজস্ব সংযোগ গড়ে তুলতে পারেন।