স্বামী চিদানন্দ গিরি বর্ণিত “যে ৬টি বৈপ্লবিক অধ্যাত্মবাদী ধারণা পরমহংস যোগানন্দ বিশ্বজগতে নিয়ে এসেছিলেন”

বিশ্বজুড়ে ক্রিয়াযোগ শিক্ষা প্রচারের উদ্দেশ্যে পরমহংস যোগানন্দের পাশ্চাত্যে আগমনের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ২০২০-র এসআরএফ বিশ্ব সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ওয়াইএসএস/এসআরএফ-এর অধ্যক্ষ এবং আধ্যাত্মিক প্রধানের উদ্বোধনী ভাষণ থেকে কিছু উদ্ধৃতি নিচে দেওয়া হল। যোগদা সৎসঙ্গ পত্রিকার গ্রাহকগণ “পরমহংস যোগানন্দের নবযুগ সৃষ্টিকারী মিশন ও তাঁর দৃষ্টিতে ভবিষ্যত প্রজন্মের মানবধর্ম” শীর্ষক সম্পূর্ণ উপস্থাপনাটি অতীতে রচিত নিবন্ধ ও শ্রুতি উপাদান সম্বলিত পত্রিকার সুবৃহৎঅনলাইন লাইব্রেরি-তে পাঠ করতে পারেন। সম্পূর্ণ বক্তৃতাটির ভিডিও এসআরএফ ওয়েবসাইট-এ দেখা যেতে পারে।

হাজার হাজার বছর ধরে পবিত্র হিমালয় পর্বতমালা যোগী, ধ্যানী, মুনি, ঋষি এবং ঐশ্বরিক সত্ত্বাসম্পন্ন অবতারগণের নিঃশব্দ নিভৃতাবাস বলে পরিচিত।

লোকালয়ের কোলাহল, সমস্যা এবং উদ্বেগ থেকে বহু দূরে অবস্থিত সেই অপূর্ব সুন্দর, নিভৃত, সমৃদ্ধ এবং দৃঢ় পর্বতমালার কথা এখন একবার কল্পনা করুন। কল্পনা করুন ঋষি, ধ্যানী ও যোগী রূপে মহর্ষিগণের কথা — যাঁরা সৃষ্টির মহোত্তম সত্য উপলব্ধি করার লক্ষ্যে নিজেকে একান্তভাবে নিয়োজিত করেছেন এবং কিছু ভাগ্যবান শিষ্যগণের কথা, যাঁরা বিভিন্নভাবে পৃথিবীর এই স্বর্গরাজ্যে আসার আশীর্বাদ লাভ করেছেন।

এইবার মনে করুন (কল্পনা করার প্রয়োজন নেই, কারণ এগুলি আমাদের সামনেই রয়েছে) আমাদের আধুনিক জগতের বিপরীতমুখী দৃশ্য: সমস্যায় জর্জরিত, ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে টাকাপয়সার জন্য ছুটোছুটি, রেষারেষি, বিমূঢ়তা; পরিবেশদূষণ, বাসস্থানের অপ্রতুলতা এবং দারিদ্র্য, যুদ্ধ, জাতিগত বিদ্বেষ এবং ধর্মীয় সংঘাতে জর্জরিত। তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। এটা একটা খুব বড়ো অনৈক্য, তাই নয় কি? মুনিঋষিগণের শান্তি, সমন্বয়পূর্ণ, দিব্য জগতের তুলনায় কতটা বৈসাদৃশ্য!

কিন্তু এবার আমাদের নজর দিতে হবে [কিঞ্চিদধিক] ১০০ বছর পূর্বে যে যুগান্তকারী ঘটনা ঘটেছিল, তার উপলব্ধিতে। পরমহংস যোগানন্দের ভাষায় উদ্দীপ্ত যোগী, ঋষি এবং গুরুগণ একত্রে তাঁদের আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ, সর্বজনীন বিধিনিয়মের গভীর অনুভব, মানবজাতির দুঃখকষ্ট ও সমস্যা বিমোচনের ওপর তাঁদের প্রগাঢ় ধ্যানধারণা নির্জন পর্বতমালা আর অরণ্য-আশ্রম থেকে সরিয়ে “সাধারণ মানুষের নাগালের” মধ্যে আনার কাজ শুরু করলেন।

ঈশ্বর-উপলব্ধি সংক্রান্ত উচ্চতম যোগবিজ্ঞান তখন শাশ্বত ভারত থেকে আধুনিক, বস্তুবাদী, এবং তৃষিত বহির্জগতে ছড়িয়ে পড়তে আরম্ভ করেছিল।

যোগী কথামৃত-তে পরমহংসজি বলেছেন: “বাবাজি সর্বক্ষণ খ্রিস্টের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন; বর্তমান প্রজন্মের পরিত্রাণের জন্য তাঁরা একত্রে মুক্তিদায়ক স্পন্দন ও আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া প্রেরণ করে থাকেন। একজন সশরীরে এবং অন্যজন সূক্ষ্মদেহে — এই দুই পূর্ণ উদ্দীপ্ত দিব্যাত্মার কাজ হল জগতবাসীকে যুদ্ধবিগ্রহ, জাতিগত বিদ্বেষ, ধর্মবিদ্বেষ, আত্মঘাতী বস্তুবাদ পরিহার করতে উদ্বুদ্ধ করা। আধুনিক যুগের প্রবণতা, বিশেষত পাশ্চাত্য সভ্যতার জটিলতা এবং প্রভাব সম্পর্কে বাবাজি উত্তমরূপে অবগত আছেন এবং প্রাচ্য ও প্রতীচ্যে সমানভাবে যোগ সহযোগে আত্মমুক্তির প্রসারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।”

“প্রাচ্যে ও প্রতীচ্যে সমভাবে” এবং বিশ্বজুড়ে যোগ প্রচার সূচনার দায়িত্ব পরমহংস যোগানন্দের উপর ন্যস্ত হয়েছিল। তিনি যা কিছু নিয়ে এসেছেন আমি তার মুখ্য কয়েকটির পর্যালোচনা করতে চাই।

পরমহংস যোগানন্দ আমাদের সকলের জন্য কী এনেছিলেন

১৯২০-তে যখন পরমহংসজি বোস্টন বন্দরে জাহাজ থেকে নামলেন, নিঃসন্দেহে মহাগুরুগণ ভালোভাবেই জানতেন তিনি কী নিয়ে আসছেন, এবং এটি এক মহান ঐশ্বর্য সম্ভার — যা আধুনিক সভ্যতার গতিপ্রকৃতি বদলে দেবে।

তবুও যাঁরা প্রথমদিকে তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। একশো বছর পর অতীতের দিকে তাকিয়ে আমরা যেসব তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে নতুন কোনোকিছুর বিচার করতে পারি, তখনকার দিনে তাঁর বন্ধু ও শিষ্যদের কাছে এগুলি ছিল অজানা। আমাদের গুরুদেব পরমহংসজি যা যা এনেছিলেন তার বিশেষ ছয়টি বিষয়ের পর্যালোচনা করব:

১। ক্রমবর্ধমান অনৈতিক এবং অধ্যাত্মবোধশূন্য আধুনিক সভ্যতায় জীবনের দিব্য উদ্দেশ্য প্রকাশ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিশ্ববোধ। যোগানন্দজি তাঁর ভাষায় আধুনিক যুগের নরনারীর কাছে ভারতের সুপ্রাচীন সনাতন ধর্মের (“ধর্মের চিরন্তন সত্য”) সহজবোধ্য, বিশ্বাসযোগ্য এবং সর্বোপরি প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেছিলেন। এর জন্য তিনি কিছু মতবাদ এবং ক্রিয়াকৌশলের প্রবর্তন করেন যা মনোবিজ্ঞান, ধর্ম, চিকিৎসাশাস্ত্র, শিক্ষাব্যবস্থা এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে প্রসারিত হয়ে মানুষের মনে এখন একটা স্থান করে নিয়েছে। শুধু এইটুকুই তাঁর অবদান হলেও তা হোত গগনচুম্বী। কিন্তু তিনি দিয়ে গেছেন আরও অনেক কিছু।

২। ঈশ্বরকে এক নতুন দৃষ্টিতে দেখা যা ঈশ্বরকে আধুনিক নরনারীর কাছে অনেক নিকট, প্রাসঙ্গিক এবং কাম্য করে তোলে। ঈশ্বরকে এক প্রতিহিংসাপরায়ণ বিচারক হিসেবে দেখার প্রচলিত পাশ্চাত্য ধারণাকে পরমহংসজি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। পরিবর্তে তিনি ঈশ্বরের প্রকৃতিকে দেখিয়েছেন নিত্য নবীনানন্দরূপে; এবং বলেছেন মানুষ, যে তাঁরই প্রতিবিম্বস্বরূপ, তাঁকে পিতা, মাতা, সখা, দিব্য প্রিয়তম অথবা তাঁর প্রতিভাস স্বর্গসুখ, জ্ঞান, জ্যোতি, শান্তি এবং প্রেমরূপেও কল্পনা করতে পারে।

ঈশ্বর সম্পর্কে এই বৈপ্লবিক চিন্তাধারা এখন পৃথিবীর অনেকাংশেই গৃহীত হয়েছে। সুতরাং আপনার শৈশবাবস্থায় বিশেষ ধর্মীয় প্রতিপালনের জন্য যদি “ঈশ্বর” শব্দের সাথে আপনার একাত্মতা অনুভব করা অসুবিধাজনক হয়, তাহলে আপনাকে পরমহংসজির ওয়াইএসএস পাঠমালার ভূমিকা: “আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে উন্নততম সাফল্যলাভ” পড়ে দেখতে অনুরোধ করি। “ঈশ্বর কী?” এর ওপরে এই বিষয়ে একটি পূর্ণ পরিচ্ছেদ আছে। এটি আপনাকে একটি পৃথক দৃষ্টিভঙ্গি দেবে বলে আমি মনে করি।

৩। যে কোনো ব্যক্তির ঈশ্বরোপলব্ধির লক্ষ্যে পৌঁছোনর জন্য ধাপে ধাপে অনুশীলনের নির্দেশিকা সংকলন।

৪। সর্বধর্ম ও সকল বিশ্বমানবের মধ্যে অপরিহার্য সমন্বয় সাধনের দূরদর্শিতা। পরমহংস যোগানন্দ একবার একটি সুন্দর উক্তি করেছিলেন, “আমি কল্পনাও করতে পারি না যে কোনো জিশু খ্রিস্ট বা কোনো ভগবান কৃষ্ণ অথবা কোনো ঋষি কাউকে খ্রিস্টান, হিন্দু, ইহুদি বা অন্য কিছু বলে অভিহিত করবেন। আমি মনে করি তাঁরা সকলকে ‘আমার ভাই’ বলেই সম্বোধন করবেন।”

খুব সুন্দর উক্তি, তাই নয় কি? যাবতীয় প্রকৃত আধ্যাত্মিক বিচারধারার মধ্যে একত্ব অনুভব করা এবং সেই উপলব্ধিকে বিশ্বমানবের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার দূরদৃষ্টি, সেই সম্ভাব্য পথ পরমহংসজি আমাদের দিয়েছেন। খ্রিস্টধর্ম এবং সনাতন হিন্দু ধর্মের ওপর এই যুগান্তকারী মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন যে এই পথগুলি সুনির্দিষ্ট ধ্যানপ্রক্রিয়া অভ্যাসের বৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপর আধারিত — যা সকল ধর্ম, মানবজাতি ও সৃষ্টির অন্তর্নিহিত অভিন্ন সত্যের প্রত্যক্ষ ও ব্যক্তিগত উপলব্ধিতে পথনির্দেশ করে।

পরমহংসজি যা এনেছিলেন, তার বিশালত্ব সম্পর্কে একটা আন্দাজ করতে পারছেন কি? যে শিক্ষাক্রম জগতে আনার জন্য তিনি আদিষ্ট হয়েছিলেন, তা তাঁর ভাষায় ছিল যুগান্তকারী।

৫। দেহ, মন এবং আত্মার সম্যক উন্নতিকল্পে “জীবনশৈলী” নীতির ওপর একটি সম্পূর্ণ কর্মসূচি। পরমহংসজির ৭০ বছরেরও পূর্বে লেখা, উক্তি এবং ভাষণ থেকে সংকলিত যোগদা সৎসঙ্গ পাঠমালা পড়লে বুঝতে পারবেন তিনি কতটা দূরদর্শী ছিলেন।

তিনি যা এনেছিলেন তার মুখ্য অংশগুলি বর্তমান যুগের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সমর্থিত সুষম অথবা সামগ্রিক জীবনশৈলীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা বিশ্বে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে।

৬। গুরু-শিষ্য সম্পর্ক বিষয়ে প্রকৃত বোধগম্যতা। প্রাচীনকালে আধ্যাত্মিক উপলব্ধি প্রাপ্তির লক্ষ্যে সত্যের অনুসন্ধানী অথবা ঈশ্বরের সন্ধানে ব্যাপৃত সাধকগণের জন্য গুরু-শিষ্য সম্পর্ক একমাত্র মাধ্যম ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক শতাব্দীগুলিতে এই সম্পর্কের প্রকৃত অর্থবোধ লোপ পেয়েছে এবং বিকৃত হয়েছে। কিন্তু আমাদের গুরুদেব তাঁর নিজের জীবনে এর যে উদাহরণ দিয়েছেন, এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের যে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, এবং তারই সম্প্রসারণের দৌলতে আমরা পবিত্র গুরু-শিষ্য সম্পর্ক-এর প্রকৃত অর্থ জানতে পেরেছি যা পৃথিবীতে প্রত্যর্পিত হচ্ছে।

আমাদের কল্যাণের জন্য যেসব মূল উপাদান তিনি নিয়ে এসেছিলেন তার খুব সামান্যই এখানে উল্লেখ করা হল। আমি এইগুলির উল্লেখ করছি কারণ বর্তমান জগতের নানান সমস্যা সমূলে নিরসনের জন্য বিশ্বের কী করা উচিত এরা তা উপস্থাপন করে…।

বিশ্বজগতের সাহায্যকল্পে শ্রেষ্ঠ অবদান কী হতে পারে

পরমহংসজি যেমন বলেছেন, “নিজেকে বদলাও, বিশ্বকে পরিবর্তিত করার ক্ষেত্রে সেটাই হবে তোমার বৃহত্তম অবদান।” হ্যাঁ, আমরা জানি যে এই কাজে আমরা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে থাকি। বাধার কারণগুলি জানা দরকার, যাতে আমরা তাদের অতিক্রম করতে পারি। দুঃখের বিষয়, আজকের পৃথিবী আধ্যাত্মিক এবং মানসিক দিক থেকে বড়ো অন্ধকারাচ্ছন্ন। প্রাকৃতিক তমসায় আমরা আশেপাশের কিছুই দেখতে পাই না। কিন্তু আধ্যাত্মিক এবং মানসিক ঘনান্ধকার আমাদের অন্তস্থিত সম্ভাবনাকে আড়াল করে রাখে।

অন্যভাবে বলতে গেলে, আধ্যাত্মিক তমসা আমাদের নিরুৎসাহ করে তোলে। এটি আমাদের মধ্যে পরাজয়, দুর্বলতা এবং ভীতির মনোভাব জাগিয়ে তোলে। যোগশাস্ত্রে এই তমসার নাম: মায়া, বিভ্রম, মহাজাগতিক অন্ধকারাচ্ছন্ন শক্তি যা আমাদের চারপাশের সত্যকে ঝাপসা করে রাখে আর আমরা তাকে পরিষ্কার দেখতে পাই না।

বিশ্বজগতে যা কিছু ঘটে চলেছে তাতে আমাদের নিরুৎসাহ হওয়া চলবে না। পরিবর্তে, শান্তি এবং সম্প্রীতির আদি নিবাসী যোগীদের স্মরণ করতে হবে যাদের আমরা মানসদর্শন করেছিলাম – মনে রাখতে হবে তাঁরা আমাদের কী দিয়ে গেছেন। আজ আমরা যে পথে চলছি, বিশ্বজগৎ যে পথে চলছে, জিশু এবং বাবাজি বহুপূর্বেই এটা আন্দাজ করেছিলেন এবং সেইজন্যই তাঁরা পরমহংস যোগানন্দ এবং ক্রিয়াযোগের শিক্ষাব্যবস্থা এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।

এটা ঠিক যে মায়ার অন্ধকারাচ্ছন্নতা, নিম্নাভিমুখী আকর্ষণ যে এই মুহূর্তে অতীব সক্রিয় তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সমগ্র যোগবিজ্ঞান মায়া, বিভ্রম, অবিদ্যা এবং তমসাকে জয় করতে আমাদের জন্যই রচিত যাতে আমরা প্রত্যেকে সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে পারি।

এবং যে কোনো জাতি, ধর্ম, দেশের প্রতিটি আত্মা, নর, নারী, শিশুর জন্য সত্য একটাই: আমরা দিব্যাত্মা। “যে পরম সুখ ও আনন্দ তারামন্ডলকে আলোক প্রদান করে, মৃদু সমীরণ এবং ঝটিকা সৃষ্টি করে,” তা উপভোগ করার জন্য আমরা অসীম সম্ভাবনাপূর্ণ দিব্যাত্মা, আমাদের গুরু যেমনটি বলেছেন।

বিশ্বে অতীন্দ্রিয়বাদী হবার অর্থ একটাই – আত্মাকে ভালোবাসা, ঈশ্বরকে ভালোবাসা, এবং সবার মধ্যে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করা।

আপনি যদি পরমহংস যোগানন্দের জীবন পরিবর্তনকারী প্রক্রিয়ার গভীর অনুধাবনের অভ্যাসে আগ্রহী হন, তাহলে প্রথম পদক্ষেপে আমাদের ওয়েবসাইটে যোগদা সৎসঙ্গ পাঠমালা সম্পর্কে পড়ে দেখুন যেখানে আপনি পরমহংসজির প্রাথমিক পাঠমালা পাঠ করতে এবং জীবনের সর্বস্তরে ফলিত বিজ্ঞানভিত্তিক ভারতীয় যোগশিক্ষার ব্যাপক ও বোধগম্য ঘরে-বসে পাঠের পাঠমালায় নথিভুক্তিকরণ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এবং আপনি যদি পরমহংস যোগানন্দের অসীম জ্ঞানভান্ডার সম্পর্কে উৎসুক থাকেন, তাহলে ওয়াইএসএস বুকস্টোর পেজটি খুলে দেখুন, যেখানে কালজয়ী আধ্যাত্মিক মহাগ্রন্থ যোগী-কথামৃত এবং পরমহংসজির পাশ্চাত্যে প্রদত্ত প্রথম বক্তৃতা ধর্মবিজ্ঞান-এর মুদ্রিত সংস্করণ সহ আরও অনেক উপস্থাপনার উল্লেখ পাবেন।

এই শেয়ার করুন