ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোভিন্দের ওয়াইএসএস দ্বারহাট আশ্রম এবং বাবাজির গুহা পরিদর্শন

১ নভেম্বর, ২০২৫

ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাননীয় শ্রী রাম নাথ কোভিন্দ অক্টোবর ২৮, ২০২৫-এ দ্বারহাটে যোগদা সৎসঙ্গ শাখা আশ্রম পরিদর্শন করেন।

স্বামী বিশ্বানন্দ এবং আরও পাঁচজন ওয়াইএসএস সন্ন্যাসীসহ স্বামী বাসুদেবানন্দ তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি এসে পৌঁছোলে তাঁকে একটি ফুলের তোড়া উপহার দেওয়া হয়। তাঁকে এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীবৃন্দ ও সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে করে ধ্যানমন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি কিছু সময় ধ্যান করেন, এবং কৃষ্ণমন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি প্রণাম করেন।

ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাননীয় শ্রী রাম নাথ কোভিন্দকে স্বামী বাসুদেবানন্দ যোগদা সৎসঙ্গ শাখা আশ্রম, দ্বারহাটে স্বাগত জানান
স্বামী বাসুদেবানন্দ, স্বামী বিশ্বানন্দ এবং অন্যান্য ওয়াইএসএস সন্ন্যাসীরা তাঁকে সঙ্গে করে ধ্যানমন্দিরে নিয়ে যান...
...যেখানে তিনি পূজাবেদিতে প্রণাম জানান এবং কিছুক্ষণ ধ্যান করেন।
ধ্যানমন্দিরের বাইরে শ্রী কোভিন্দ এবং সন্ন্যাসীদের একটি গ্রুপ ফোটো।

আশ্রমের অতিথি নিবাসে একটি মিটিংএ স্বামী বাসুদেবানন্দ শ্রী কোভিন্দকে একটি শাল, সদ্য প্রকাশিত The Yoga of the Bhagabad Gita হিন্দি বই, এবং ২০২৬-এর ওয়াইএসএস দেওয়াল ক্যালেন্ডার উপহার দেন। তাঁর সাথে আসা আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকেও শাল এবং ক্যালেন্ডার সহ সদ্য প্রকাশিত বইটির একটি কপি দেওয়া হয়।

শ্রী কোভিন্দ অতিথি-মন্তব্যের খাতায় শ্রদ্ধাঞ্জলি লিখছেন।
স্বামী বাসুদেবানন্দ শ্রী কোভিন্দকে একটি শাল, সদ্য প্রকাশিত “The Yoga of the Bhagabad Gita” হিন্দি বই, এবং ২০২৬-এর ওয়াইএসএস দেওয়াল ক্যালেন্ডার উপহার দিচ্ছেন।

তাঁর দলের প্রতিটি সদস্যও প্রসাদ এবং ২০২৬-এর ওয়াইএসএস ক্যালেন্ডার পেয়েছিলেন।

স্বামী বিশ্বানন্দ এবং বাসুদেবানন্দের সাথে শ্রী কোভিন্দ বেশ কয়েক মিনিট কথা বলেন, আশ্রমের বিভিন্ন কার্যবিধি সম্পর্কে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং পরের বছর আবার যোগদা আশ্রম পরিদর্শনের তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

তিনি আশ্রমে প্রায় আধ ঘণ্টা কাটান।

অক্টোবর ২৯, ২০২৫-এ মহাবতার বাবাজির গুহা পরিদর্শন

পরের দিন শ্রী রাম নাথ কোভিন্দ দ্বারহাটের কাছে পান্ডুখোলি পর্বতে অবস্থিত মহাবতার বাবাজির গুহায় পৌঁছোন।

একদিন পরে, মহাবতার বাবাজির গুহায় পৌঁছে, শ্রী কোভিন্দ স্মৃতি ভবনে মহাবতার বাবাজির প্রতিকৃতির সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি ওয়াইএসএস সন্ন্যাসীদের সঙ্গে মহাবতার বাবাজির গুহায় যান।

ওয়াইএসএস সন্ন্যাসীরা তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানালে তিনি তা গ্রহণ না করে বাবাজির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “এখানে আমার নেওয়া নয়, বরং আমারই তাঁর চরণে ফুল অর্পণ করা উচিত”। এর পর তাঁকে সঙ্গে করে স্মৃতিভবনে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে মহাবতার বাবাজির প্রতিকৃতির সামনে তিনি শ্রদ্ধার্পণ করেন।

এরপর তিনি বাবাজির গুহা পরিদর্শন করেন যেখানে স্বামী বিশ্বানন্দ প্রবেশদ্বারে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁকে গুহার ভিতরে নিয়ে যান। তিনি ১৫ থেকে ২০ মিনিট সেখানে ধ্যান করেন, তারপর স্বামী বিশ্বানন্দ তাঁকে একটি রুদ্রাক্ষের মালা উপহার দেন।

গুহা অঞ্চলের নীচে স্মৃতিভবনে তিনি লঘু আহারের জন্য ফিরে আসেন। স্বামী বিশ্বানন্দ এবং স্বামী চৈতন্যানন্দ তাঁকে বাবাজির গুহার ইতিহাস সম্বন্ধে বলেন এবং সারা বছর ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় এই গুহাতে আসা তীর্থযাত্রীদের আরও ভালো পরিষেবা এবং সহায়তা দেওয়ার জন্য গুহা অঞ্চলে চলতে থাকা উন্নয়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। শ্রী কোভিন্দ এই বিষয়ে গভীর আগ্রহ দেখান এবং প্রকল্পটির প্রতি তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেন। পাহাড় বেয়ে তাঁর গাড়ির দিকে নেমে আসার পথে তাঁকে যেখানে ওয়াইএসএস-এর অতিথি আপ্যায়ন কেন্দ্র এবং একটি বহুমুখী ভবন তৈরি হচ্ছে সেই জায়গাটি দেখানো হয়।

বাবাজির গুহায় ধ্যানরত
গুহার বাইরে স্বামী বিশ্বানন্দ, স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে শ্রী কোভিন্দ একটি ফোটো তোলেন।

মাননীয় পূর্বতন রাষ্ট্রপতি তাঁর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে আশ্রমের জন্য তাঁর পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন। পরে তিনি ওয়াইএসএস-এর দ্বারহাট আশ্রম এবং বাবাজির গুহা উভয় স্থানেই তাঁর অনুপ্রেরণাদায়ী এবং তথ্যসমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পরের দিন, ৩০শে অক্টোবর, ২০২৫, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নিজস্ব সহকারী শ্রী কোভিন্দকে স্বামী ধৈর্য্যানন্দের সাথে ফোনে যোগাযোগ করিয়ে দেন, এই সময় তিনি ওয়াইএসএস আশ্রমে প্রাপ্ত আতিথেয়তার জন্য তাঁর আন্তরিক আনন্দ এবং গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এই শেয়ার করুন