স্বামী শান্তানন্দ গিরি স্মরণে

৫ জানুয়ারি, ২০২৩

২০২৩-এর ৪ঠা জানুয়ারী (প্যাসিফিক সময় অনুযায়ী), বুধবার লস অ্যাঞ্জেলসের সেল্ফ-রিয়লাইজেশন ফেলোশিপের আন্তর্জাতিক সদর দপ্তরে আমাদের শ্রদ্ধেয় স্বামী শান্তানন্দ গিরি পরম শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ছিলেন পরমহংস যোগানন্দের এক সন্ন্যাসী শিষ্য।

স্মরণ সভা

২৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার স্বামী শান্তানন্দের উদ্দেশ্যে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় এই স্নেহময় সন্ন্যাসী শিষ্যকে সম্মানার্থে যিনি অগণিত ভক্ত ও বন্ধুদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং আমাদের গুরুদেবের কার্যে নিঃস্বার্থ অবদান রেখেছেন। সভাটি যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার রাঁচি আশ্রম থেকে সারা বিশ্বে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। সভাটি পরিচালনা করেন স্বামী শুদ্ধানন্দ গিরি। সভাটি ওয়াইএসএস-এর অন্যান্য স্বামীজিদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল এবং ওয়াইএসএস-এর দীর্ঘদিনের ভক্ত শ্রীমতি রত্না চতুর্বেদী এবং ডঃ কে. ভি. রামা রাও, দুজনেই ভারতের অন্য স্থান থেকে বক্তব্য রেখেছিলেন।

“এক আনন্দের মহাকাব্য”

অন্যান্য প্রশংসার পরে, ওয়াইএসএস/এসআরএফ-এর অধ্যক্ষ এবং আধ্যাত্মিক প্রধান শ্রীশ্রী স্বামী চিদানন্দ গিরি স্বামী শান্তানন্দজির সম্পর্কে হৃদয়গ্রাহী কথা বলেন। তাঁর ভাষণের কিছু অংশ এখানে উদ্ধৃত হল:

“আমার এবং আমাদের অনেকের কাছেই স্বামী শান্তানন্দ ছিলেন অত্যন্ত প্রিয় এক বন্ধু। তাঁর প্রেরণাদায়ক অভিব্যক্তি ও দিব্য গুণাবলিতে হৃদয় আমার পরিপূর্ণ।

“তাঁর কথা প্রসঙ্গে মনে পড়ে অতীতে কত শত কাহিনী, ছোটো ছোটো ঘটনা, ভক্তদের স্মৃতিচারণ আর আমাদের দিব্য গুরুদেবের নিজ কর্মকাণ্ডের উন্নতি ও অগ্রগতি সম্বন্ধে মন্তব্য: ‘এ যেন এক আনন্দের মহাকাব্য’। আর সে কারণেই এই কর্মযজ্ঞে আমাদের প্রিয় স্বামীজির অবদান কেউই স্মরণ না করে পারেন না। ১৯৫২-তে পরমহংসজির দেহত্যাগের পরও সেই ‘আনন্দের মহাকাব্য’ রচনা থেমে থাকেনি; আজও চলছে সেই মহাকাব্য লেখা; আর এও সুনিশ্চিত যে, সে মহাকাব্যে রয়েছে আমাদের প্রিয় স্বামীজির অতীব প্রেরণাদায়ক স্মরণীয় এক অধ্যায়।

“ক্রিয়াবান শিষ্য, যোগী, ভগবত প্রেমী এবং গুরুদেবের ভক্ত রূপে — তিনি এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ — বিস্ময়কর, সুন্দর এক মহাকাব্যিক জীবন: প্রত্যেক ভক্তই এরকম জীবনযাপন করতে পারবেন, যদি তিনি আমাদের প্রিয় স্বামীজির মতো ‘আত্মবিস্মৃতির’ পথ অনুসরণ করেন অর্থাৎ জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে ‘আমিত্ব’ কে বর্জন করা, যাতে ঈশ্বর ও গুরুর দিব্যপ্রেম, জ্ঞান, আনন্দ ও উৎসাহ তাঁর মধ্যে প্রবাহিত হয়। ‘আত্মবিস্মৃতি’র দ্বারা এই দিব্য শক্তি শুধুমাত্র যে সন্ন্যাসী বা ত্যাগীরাই অনুভব করে, তা নয়, এই পথ অনুসরণকারী যে কোনো ভক্তও তা পারে। যতই আমরা ঈশ্বর ও গুরুকে বলব: ‘আমার ইচ্ছা নয়, প্রভু, তোমার ইচ্ছা মূর্ত হোক; তোমার ইচ্ছা অনুযায়ী আমাকে চালনা করো,’ ততই আমাদের এই অনুভূতি হবে। স্বামীজির সমগ্র জীবন ছিল এই দিব্য উপলব্ধির ও আধ্যাত্মিক শক্তির নিরবিচ্ছিন্ন স্বীকৃতি ও আহ্বান।”

ওয়াইএসএস/এসআরএফ-এর অধ্যক্ষ শ্রীশ্রী স্বামী চিদানন্দ গিরি ওয়াইএসএস রাঁচি আশ্রমে অনুষ্ঠিত স্বামী শান্তানন্দের স্মরণ সভায় বক্তৃতা প্রদান করছেন।

ঈশ্বরের প্রতি একনিষ্ঠ ভক্তি এবং পরমহংস যোগানন্দজির ক্রিয়াযোগ শিক্ষার সুস্পষ্ট ও সঠিক উপস্থাপনার জন্য অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় স্বামী শান্তানন্দ ওয়াইএসএস/এসআরএফ-এর ভক্ত এবং সন্ন্যাসীদের হৃদয়কে গভীরভাবে স্পর্শ করেছিলেন।

তাঁকে বিশেষ করে ভারতে পরমহংস যোগানন্দজির কর্মধারা — যোগদা সৎসঙ্গ সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া (ওয়াইএসএস)-এর প্রতি তাঁর সমর্পণের জন্য স্মরণ করা হবে — যেখানে তিনি প্রায় পাঁচ দশক ধরে সেবা করেছেন, ওয়াইএসএস-এর প্রশাসনের তত্ত্বাবধান করেছেন এবং অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি প্রকাশনা, শিক্ষা, আইন সংক্রান্ত, কেন্দ্র, অর্থ এবং অন্যান্য বিভাগের কাজে অবদান রেখেছেন।

বাল্যজীবন

স্বামী শান্তানন্দের জন্ম ২৮ জুলাই, ১৯৩২-এ ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যান্টিওক-এ পল স্টীল ফ্লিটউড নামে, স্বামী শান্তানন্দের শৈশব সুখী এবং সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। তিনি ১৯৫০-এ কনকর্ড, ক্যালিফোর্নিয়ায় হাই স্কুলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৪-তে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনীয়ারিং-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং গ্রীলে, কলোরাডোতে কলোরাডো স্টেট কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন।

তাঁর প্রশংসনীয় শিক্ষাগত পড়াশোনা সত্ত্বেও, স্বামী শান্তানন্দজির গূঢ় আকাঙ্ক্ষা ছিল, আশ্রমে বাস করে কোনো ঈশ্বর উপলব্ধ গুরুর কাছে শিক্ষা গ্রহণ করবেন, যা তাঁকে ১৯৬০-এ লস অ্যাঞ্জেলসে এসআরএফ সন্ন্যাস আশ্রমে প্রবেশ করার জন্য প্রেরণা দিয়েছিল। সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য তাঁর আবেদনপত্রে তিনি লিখেছিলেন: “আমার সীমিত ক্ষমতার সাহায্যে যথাসাধ্য আমায় ঈশ্বরের খোঁজ করতে হবে।”

ভারতে অতিবাহিত বছর

১৯৬৩-তে এসআরএফ মাদার সেন্টারে ব্রহ্মচর্য দীক্ষা নেওয়ার পর, শান্তানন্দজিকে শ্রী দয়ামাতাজি ওয়াইএসএস রাঁচি এবং দক্ষিণেশ্বর আশ্রমে সেবার জন্য পাঠালেন, যেখানে তিনি আনন্দের সাথে অক্লান্ত সেবা করেন (২০১১ সাল পর্যন্ত অতিবাহিত করে, তিনি এসআরএফ মঠে, লস অ্যাঞ্জেলসে ফিরে আসেন।) তিনি ৪ ঠা জুলাই, ১৯৭১-এ সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।

বহু বছর ভারতে থাকাকালীন, প্রায়শই স্বামী শান্তানন্দজি শ্রী দয়ামাতাজির উপদেশ এবং পরামর্শ পেয়ে এসেছেন। ভারত সফরের সময় মাতাজি এবং তাঁর অন্যান্য সহকারীদের সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন এবং মাতাজি তাঁর সতর্ক সহায়তার ওপর গভীরভাবে নির্ভরশীল ছিলেন। এর পাশাপাশি, তিনি প্রতি দুই বছরে একবার লস অ্যাঞ্জেলসে এসে মাতাজির সঙ্গে দেখা করতেন এবং সেখানে পরমহংসজির কাজের উন্নয়ন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। এভাবে, স্বামী শান্তানন্দজি ওয়াইএসএস-এর আজকের শক্তিশালী আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানের রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, যার মধ্যে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর বিকাশমান ওয়াইএসএস সন্ন্যাস আশ্রম প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দয়া মাতাজির পরামর্শের অধীনে, তিনি ১৯৭২-এর থেকে ওয়াইএসএস পরিচালনা পর্ষদে কাজ করা শুরু করেন এবং ২০১১ সাল পর্যন্ত সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের কাজ করেন। তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত ওয়াইএসএস পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।

এখানে স্বামী শান্তানন্দ (সবচেয়ে বাঁদিকে) ১৯৭২-এ (বাঁদিক থেকে ডানদিকে) স্বামী শরণানন্দ, শ্রী দয়ামাতা, শ্রী আনন্দ মাতা এবং স্বামী অচলানন্দের সাথে হিমালয়ের শৃঙ্গমালা দেখছেন।
স্বামী শান্তানন্দ এবং ওয়াইএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক শ্রী শোভেন সি. রায়ের সাথে ১৯৯১-তে শ্রী দয়ামাতা। এই ওয়াইএসএস পরিচালন পর্ষদের সদস্যেরা ছয় সপ্তাহ ধরে এসআরএফ আন্তর্জাতিক সদর দপ্তরে থেকে শ্রী দয়ামাতা এবং এসআরএফ/ওয়াইএসএস পরিচালক মণ্ডলীর অন্যান্য সদস্যদের সাথে ভারতে শ্রীশ্রী পরমহংস যোগানন্দের শিক্ষার বিস্তার সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন।

ভারতে পরমহংসজির কার্যক্রমের বিকাশকে স্মরণ করে, স্বামী শান্তানন্দ বলেন, “দয়ামাতাজির পাঁচটি ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর ওয়াইএসএসকে প্রতিষ্ঠা করা। তবে, এই মহান প্রচেষ্টার সাফল্য তখন নিশ্চিত ছিল না যখন দয়ামাতাজি প্রথমবার [১৯৫৯-এ] ভারতে পৌঁছোন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি অনুভব করেন যে বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। সঠিক ব্যক্তিদের সন্ধান করাও অত্যন্ত জরুরি ছিল।”

স্বামী শান্তানন্দ বলেন, “সঠিক ব্যক্তি” শ্রী বিনয় নারায়ণ দুবেকে পাওয়া গিয়েছিল, যিনি পরে হংস স্বামী শ্যামানন্দ গিরি (১৯১১ – ১৯৭১) নামে পরিচিত হন। দয়ামাতার নিরন্তর অনুপ্রেরণা এবং দিকনির্দেশনার অধীনে তিনি ওয়াইএসএসকে পুনরুজ্জীবিত করেন। সেই সময়ে, স্বামী শান্তানন্দ বুঝতে পারেননি যে, স্বামী শ্যামানন্দের প্রয়াণের পর তিনি নিজেই ওয়াইএসএস-এর রূপান্তরে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তিনি বলেন: “আমাদের মধ্যে কয়েকজন নবীন সন্ন্যাসী তখন যোগাচার্যজি [স্বামী শ্যামানন্দ]-এর সহায়ক ছিলাম। আমরা তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এবং কাজের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ১৯৭১-এ তাঁর প্রয়াণের পরেও আমরা জানতাম যে ওয়াইএসএস-এর সফলতার জন্য আমাদের কেবল তাঁর শুরু করা এবং নির্ধারিত কর্মপরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে হবে।”

স্বামী শ্যামানন্দের প্রয়াণের পর, ওয়াইএসএস-এর দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব দুটি নবীন সন্ন্যাসী, স্বামী ভবানন্দ (যার ২০১০-এ প্রয়াণ হয়েছিল) এবং স্বামী শান্তানন্দের কাঁধে এসে পড়ে।

ওয়াইএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য বহু দায়িত্বের মধ্যে, স্বামী শান্তানন্দ ভারত সরকার এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে অসংখ্য আনুষ্ঠানিক আলোচনায় ওয়াইএসএস-এর প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

এমনই একটি ঘটনা ছিল যখন ১৯৯৩-তে কলকাতার মাদার টেরেসা দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সর্বসমক্ষে সহায়তার আবেদন করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, স্বামী শান্তানন্দের নির্দেশনায় ওয়াইএসএস দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত বহু বাড়ির পুনর্নির্মাণে সহায়তা করেছিল। ওয়াইএসএস-এর এই ত্রাণ প্রচেষ্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাদার টেরেসা স্বামী শান্তানন্দকে সেন্ট ফ্রান্সিসের বিখ্যাত প্রার্থনা, “প্রভু, আমাকে তোমার শান্তির মাধ্যম করো” (ওপরে ফটো দেখুন) পাঠ করতে অনুরোধ করেছিলেন।

ওয়াইএসএস প্রায় একশোটি বাড়ির জন্য নতুন ছাদ নির্মাণ করার পর, মাদার টেরেসা পরবর্তী ধন্যবাদসূচক নোটটি পাঠান: “প্রিয় স্বামী শান্তানন্দ গিরি ট্যাংরা এলাকার অসহায় মানুষদের বাড়িঘরদোর মেরামত করিয়ে তুমি যে ভালোবাসার পরিচয় দিলে সে জন্য তুমি ঈশ্বরের প্রেমাস্পদ হও। তোমার এবং তোমার সাহায্যকারী সকলের জন্য আমি কৃতজ্ঞ চিত্তে প্রার্থনা করি। ঈশ্বর তোমাদের কল্যাণ করুন। এম. টেরেসা, এম.সি.।”

“আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আমি সবাইকে ভালোবেসেছি”

২০১০ এ স্বামী শান্তানন্দের আশ্রম জীবনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শ্রী দয়ামাতা লিখেছেন: “অবিচল উৎসাহ ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে তুমি ঈশ্বর ও গুরুদেবকে ভালোবেসে সেবা করে চলেছ, সমস্ত মন প্রাণ দিয়ে এতগুলো বছর ধরে সন্ন্যাস জীবনযাপন করছ; আমি জানি, তাঁদের আশীর্বাদ অবিরাম তোমার ওপর বর্ষিত হচ্ছে।”

এসআরএফ-এর সহ-সভাপতি এবং ওয়াইএসএস/এসআরএফ পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য, স্বামী বিশ্বানন্দ স্মৃতিচারণে উল্লেখ করেন, “ওয়াইএসএস-এর এই অসাধারণ উন্নতির কয়েকটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টায়, আমি স্বামী শান্তানন্দ সহ বেশ কয়েকজন প্রবীণ ওয়াইএসএস সন্ন্যাসীর মতামত জানতে চেয়েছিলাম। আমি আশা করেছিলাম যে, ওয়াইএসএস কার্যক্রমের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রের প্রশাসনের ব্যাপক অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি আমাকে একটি দীর্ঘ এবং বিশদ বিশ্লেষণ দেবেন। এর পরিবর্তে, তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল:

“‘গুরুদেবের নির্দেশ অনুযায়ী, আমি সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছি, সকলকে ভালোবাসতে, ঈশ্বরের ভালোবাসা অনুভব করতে এবং ঈশ্বরের উপস্থিতি সকলের মধ্যে দেখতে। আর সারাক্ষণ জগন্মাতা ও গুরুদেবের সক্রিয় অংশ গ্রহণে সবকিছুই সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’

“কতই না সুন্দর? গুরুদেবের বাণীর অন্তর্নিহিত ভাবটিকে তিনি নিজ অন্তরে গেঁথে নিয়েছিলেন, ‘কেবল মাত্র ভালোবাসাই আমার স্থান নিতে পারে।’”

আমাদের প্রিয় স্বামী শান্তানন্দ, যিনি ঈশ্বরের শাশ্বত শান্তি ও আনন্দের গৃহে নিজ গুরুর সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, তাঁর প্রতি আমাদের গভীরতম ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে দয়া করে আমাদের সাথে যোগদান করুন।

এই শেয়ার করুন