
আমাতে চিত্ত সমাহিত করে এবং আমার কৃপায়, তুমি সকল সাংসারিক দুঃখ অতিক্রম করতে পারবে।
— গড টকস্ উইথ অর্জুন: দ্য ভগবদ্গীতা
প্রিয়বরেষু,
শুভ জন্মাষ্টমীর এই পুণ্য লগ্নে আপনাদের প্রত্যেককে জানাই আনন্দপূর্ণ অভিবাদন! ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী উদযাপনে আমি আপনাদের এবং বিশ্বজুড়ে থাকা অসংখ্য ভক্তের সঙ্গে যোগদান করছি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন ঈশ্বরের অসীম প্রেম, প্রজ্ঞা, শক্তি এবং ঈশ্বরের সৌন্দর্যের দিব্য প্রতিভূ। তিনি একাধারে রাজা ও যোগীর জীবনযাপনের দৃষ্টান্ত এবং ভগবদগীতায় পরিদর্শিত রাজযোগের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে জাগতিক দায়িত্ব পালন করেও ঈশ্বর-চেতনা লাভ করা সম্ভব।
আমরা কত ভাগ্যবান যে আমাদের গুরু, পরমহংস যোগানন্দজি, ওয়াইএসএস/এসআরএফ পাঠমালায় যোগের সারমর্ম এত বিস্তৃতভাবে প্রকাশ করেছেন — এই একই আত্ম-প্রভুত্বের বিজ্ঞান ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কয়েক হাজার বছর আগে গীতায় বিশেষভাবে বর্ণনা করেছেন। ক্রিয়াযোগের ধ্যান প্রক্রিয়াসমূহের শ্রদ্ধাপূর্ণ অনুশীলন আমাদের সচেতন হতে সাহায্য করে যে, আমরা দেহ নই কিংবা মন নই তাদের দুর্বলতা ও আত্ম-সীমাবদ্ধকারী ইন্দ্রিয়গত অভিলাষ-অনভিলাষ সহ, বরং আমরা অমর আত্মা, যা পরমাত্মার প্রতিচ্ছবি। শ্রীকৃষ্ণ যেমন দৈনিক ধ্যান ও ধর্মাচরণের মাধ্যমে দিব্যের উদার অনুগ্রহ ও আশীর্বাদে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে আত্ম-চৈতন্যের রাজকীয়তায় বাস করতেন, আমরাও তেমন করতে পারি।
ভগবান আমাদের এই আধ্যাত্মিক সাধনায় একাকী রেখে যাননি, বরং একজন শাশ্বত মিত্রের স্নেহপূর্ণ হৃদয়ে আমাদের পাশে আছেন: মোহের ঝড়ে আমাদের রক্ষা করেন, জীবনের যুদ্ধক্ষেত্রে একজন জ্ঞানী সারথি হয়ে পথ দেখান, এমনকি মায়ার স্বপ্ন-নাটকে আমাদের প্রিয় সঙ্গী হয়ে আনন্দের সাথে নৃত্য করেন। শ্রীকৃষ্ণের অসংখ্য নাম আমাদের দেখায় যে ঈশ্বর মায়ার বন্ধন থেকে আমাদের মুক্ত করতে যে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারেন, বিশেষত যখন আমরা আমাদের দিব্য অন্বেষণকে ভক্তির রসে রসসিক্ত করি।
ভগবান কৃষ্ণের সেই প্রতিজ্ঞা – যা তিনি সেই সকল আধ্যাত্মিক সাধকদের জন্য করেছিলেন, যাঁরা ধ্যান এবং সৎকর্মের মাধ্যমে জীবনের স্বর্ণোজ্জ্বল মধ্যপন্থা অনুসরণ করেন – আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে নবোদ্যম সঞ্চারিত করুক, যাতে আমরা নিজেদের আত্মার অসীম সম্ভাবনাকে আবিষ্কার করতে পারি। তাহলে, আমরা এই পৃথিবীতে অসহায় মানুষের মত নয়, বরং দিব্য চেতনার জ্ঞান-সঙ্গীতের উজ্জ্বল মাধ্যম হয়ে, সকলের মধ্যে ঈশ্বরের প্রেম ও আনন্দ বিতরণ করতে পারব।
আপনাকে ও আপনার প্রিয়জনদের জন্য পরম মঙ্গলময় জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা।
শুভ জন্মাষ্টমীর এই পুণ্য লগ্নে আপনাদের প্রত্যেককে জানাই আনন্দপূর্ণ অভিবাদন! ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী উদযাপনে আমি আপনাদের এবং বিশ্বজুড়ে থাকা অসংখ্য ভক্তের সঙ্গে যোগদান করছি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন ঈশ্বরের অসীম প্রেম, প্রজ্ঞা, শক্তি এবং ঈশ্বরের সৌন্দর্যের দিব্য প্রতিভূ। তিনি একাধারে রাজা ও যোগীর জীবনযাপনের দৃষ্টান্ত এবং ভগবদগীতায় পরিদর্শিত রাজযোগের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে জাগতিক দায়িত্ব পালন করেও ঈশ্বর-চেতনা লাভ করা সম্ভব।
আমরা কত ভাগ্যবান যে আমাদের গুরু, পরমহংস যোগানন্দজি, ওয়াইএসএস/এসআরএফ পাঠমালায় যোগের সারমর্ম এত বিস্তৃতভাবে প্রকাশ করেছেন — এই একই আত্ম-প্রভুত্বের বিজ্ঞান ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কয়েক হাজার বছর আগে গীতায় বিশেষভাবে বর্ণনা করেছেন। ক্রিয়াযোগের ধ্যান প্রক্রিয়াসমূহের শ্রদ্ধাপূর্ণ অনুশীলন আমাদের সচেতন হতে সাহায্য করে যে, আমরা দেহ নই কিংবা মন নই তাদের দুর্বলতা ও আত্ম-সীমাবদ্ধকারী ইন্দ্রিয়গত অভিলাষ-অনভিলাষ সহ, বরং আমরা অমর আত্মা, যা পরমাত্মার প্রতিচ্ছবি। শ্রীকৃষ্ণ যেমন দৈনিক ধ্যান ও ধর্মাচরণের মাধ্যমে দিব্যের উদার অনুগ্রহ ও আশীর্বাদে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে আত্ম-চৈতন্যের রাজকীয়তায় বাস করতেন, আমরাও তেমন করতে পারি।
ভগবান আমাদের এই আধ্যাত্মিক সাধনায় একাকী রেখে যাননি, বরং একজন শাশ্বত মিত্রের স্নেহপূর্ণ হৃদয়ে আমাদের পাশে আছেন: মোহের ঝড়ে আমাদের রক্ষা করেন, জীবনের যুদ্ধক্ষেত্রে একজন জ্ঞানী সারথি হয়ে পথ দেখান, এমনকি মায়ার স্বপ্ন-নাটকে আমাদের প্রিয় সঙ্গী হয়ে আনন্দের সাথে নৃত্য করেন। শ্রীকৃষ্ণের অসংখ্য নাম আমাদের দেখায় যে ঈশ্বর মায়ার বন্ধন থেকে আমাদের মুক্ত করতে যে কোনো ভূমিকা পালন করতে পারেন, বিশেষত যখন আমরা আমাদের দিব্য অন্বেষণকে ভক্তির রসে রসসিক্ত করি।
ভগবান কৃষ্ণের সেই প্রতিজ্ঞা – যা তিনি সেই সকল আধ্যাত্মিক সাধকদের জন্য করেছিলেন, যাঁরা ধ্যান এবং সৎকর্মের মাধ্যমে জীবনের স্বর্ণোজ্জ্বল মধ্যপন্থা অনুসরণ করেন – আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে নবোদ্যম সঞ্চারিত করুক, যাতে আমরা নিজেদের আত্মার অসীম সম্ভাবনাকে আবিষ্কার করতে পারি। তাহলে, আমরা এই পৃথিবীতে অসহায় মানুষের মত নয়, বরং দিব্য চেতনার জ্ঞান-সঙ্গীতের উজ্জ্বল মাধ্যম হয়ে, সকলের মধ্যে ঈশ্বরের প্রেম ও আনন্দ বিতরণ করতে পারব।
আপনাকে ও আপনার প্রিয়জনদের জন্য পরম মঙ্গলময় জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা।
জয় শ্রীকৃষ্ণ! জয় গুরু!
স্বামী চিদানন্দ গিরি