“আমি পারি” চেতনাতে হতাশা অতিক্রম করতে পরমহংস যোগানন্দ

১৮ অক্টোবর, ২০২৪

ভূমিকা: 

আপনি কি কখনও কোনো মহৎ আধ্যাত্মিক বা পার্থিব লক্ষ্য অর্জনের পথে পা বাড়িয়েছেন আর তারপর যখন স্বাভাবিকভাবেই আসা বাধার মুখোমুখি হয়েছেন, তখন কি নিজেকে হতাশ বা উদ্যমহীন বোধ করেছেন?   

আচ্ছা, এটি মানব জীবনেরই একটি অংশ, তবে এটি স্মরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ যে, পরমহংস যোগানন্দের শিক্ষা আমাদের যে কোনো হতাশাকে এক অটল দৃঢ়সংকল্পের মনোভাব দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে সাহায্য করে — যা আমাদের ইচ্ছাশক্তি দ্বারা অত্যুদ্দীপ্ত। 

পরমহংসজি বলেছেন, “একটি ভালো, নির্মল ও সৃষ্টিশীল লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং স্থির করুন যে আপনি সেটি অর্জন করবেন।” “যতবারই আপনি ব্যর্থ হন না কেন, চেষ্টা চালিয়ে যান। যাই ঘটুক না কেন, যদি আপনার দৃঢ় সংকল্প থাকে — ‘পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও, আমি আমার সর্বোত্তম চেষ্টা করে যাব,’ তাহলে আপনি উদ্যমী ইচ্ছাশক্তি ব্যবহার করছেন এবং আপনি অবশ্যই সফল হবেন।”

অর্থাৎ, যে কোনো দীর্ঘস্থায়ী সন্দেহ বা সাময়িক উদ্যমের অভাব সত্ত্বেও — আমরা “পারব না” কে “পারব”তে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রাখি এবং আমাদের চেতনাকে, এমনকি আমাদের পরিস্থিতিকেও নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারি।

আমরা আশা করি, এই মাসের সংবাদ সংকলনটি আপনার জীবনের কোনো মহৎ উদ্দেশ্যের জন্য উৎসাহের আগুনে ইন্ধন জোগাতে সাহায্য করবে — বিশেষত সেই পরম লক্ষ্য অর্জনে, যার মাধ্যমে আপনি নিজের মধ্যে আত্মার সকল কিছু অর্জনকারী ঐশ্বর্যকে উপলব্ধি করতে পারবেন।   

পরমহংস যোগানন্দজির বক্তৃতা ও রচনা থেকে:

“পারব না” মানসিকতার জন্য একটি প্রতিষেধক রয়েছে: সেটি হল “আমি পারব!” এই প্রতিষেধকটি আপনার মনে তৈরি করুন এবং আপনার ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে এটি প্রয়োগ করুন। 

প্রতিদিন সকালে নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে, আপনি ঈশ্বরের সন্তান এবং যত কঠিনতাই আসুক না কেন, আপনি সেগুলো অতিক্রম করার শক্তি রাখেন। ঈশ্বরের দিব্য শক্তির উত্তরাধিকারী হয়ে, আপনি ভয়ঙ্করের চেয়েও ভয়ঙ্কর!

আপনার মধ্যে যে ধারণা রয়েছে যে আপনি কোনো কিছু করতে পারবেন না, তা অতিক্রম করার উপায় হল তা করতে শুরু করা। এবং তারপর অবিরত করে যান। পরিস্থিতি আপনাকে নিচে নামানোর চেষ্টা করবে, আপনাকে হতাশ করে আবার বলতে বাধ্য করবে, “আমি এটা পারব না।” যদি কোনো শয়তান থাকে, তবে সেই শয়তান হল “আমি পারব না”…আপনার অটল বিশ্বাসের দ্বারা সেই শয়তানকে আপনার চেতনা হতে দূর করে দিন: “আমি এটা করতে পারব।”

এটা আন্তরিকভাবে বলুন এবং যতবার পারেন তা সংকল্প করুন। মানসিকভাবে এটা বিশ্বাস করুন এবং ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে সেই বিশ্বাসকে সক্রিয় করুন। কাজ করুন! আর যখন কাজ করবেন, তখন কখনো “আমি এটা পারব” এই ভাবনা ত্যাগ করবেন না। হাজারটা বাধা এলেও থামবেন না। যদি এই সংকল্প থাকে, তাহলে আপনি যা অর্জন করতে চান তা অবশ্যই ঘটবে; আর যখন তা ঘটবে, তখন আপনি বলবেন, “আরে, এটা তো খুবই সহজ ছিল!” 

দেখুন, আমি আপনাকে যে বিস্তৃতির পথ দেখাচ্ছি তা কত অসাধারণ। এই কথাগুলো — “আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে এবং আমি করব” —এটাই নিজেকে পরিবর্তন করার এবং সম্পূর্ণ বিজয় অর্জন করার উপায়।

আপনার মধ্যে যে শক্তি ইতিমধ্যেই আছে, তা সৃষ্টিশীল কাজে ব্যবহার করুন তাহলে আরও শক্তি আসবে। সফলতার সকল গুণাবলি ব্যবহার করে অটল সংকল্প নিয়ে আপনার পথে এগিয়ে যান। নিজের সত্তাকে সৃষ্টিশীল শক্তির সাথে সংযুক্ত করুন। আপনি সেই অসীম বুদ্ধির সাথে সংযোগ স্থাপন করবেন, যা আপনাকে পথ দেখাতে এবং সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। আপনার অস্তিত্বের উদ্যমী উৎস থেকে শক্তি নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রবাহিত হবে, ফলে আপনি যে কোনো ক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলভাবে কাজ করতে সক্ষম হবেন। 

 

আমরা আপনাকে “যথার্থ সফলতা ও সমৃদ্ধি অর্জন” শীর্ষক ওয়েবপেজটি দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাই, যেখানে আপনি পরমহংস যোগানন্দের আরও জ্ঞানের সাথে পরিচিত হতে পারবেন। জীবন ও ইচ্ছাশক্তিতে অপরিসীম ইতিবাচকতা সংমিশ্রিত করার উপায় সম্পর্কে এখানে তিনি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন — যাতে আপনি আপনার সব সার্থক লক্ষ্যে বিজয়ীভাবে পৌঁছোতে পারেন।  

পরমহংস যোগানন্দের অন্তর্দৃষ্টি ও প্রেরণা সরাসরি আপনার ইনবক্সে পেতে সাইন আপ করুন।

এই শেয়ার করুন