“আমি সর্বদা তাদের সঙ্গেই আছি, যারা ক্রিয়া অনুশীলন করে,” — লাহিড়ী মহাশয় সান্ত্বনাস্বরূপ বলতেন সেই সব শিষ্যদের, যারা তাঁর কাছাকাছি থাকতে পারতেন না। “তোমাদের ক্রমবর্ধমান আধ্যাত্মিক উপলব্ধির মাধ্যমে আমি তোমাদের চৈতন্য ধামের পথে পরিচালিত করব।”
— যোগী-কথামৃত গ্রন্থ থেকে নেওয়া লাহিড়ী মহাশয়ের উদ্ধৃতি
যোগাবতার বা “যোগের অবতার” রূপে পূজিত লাহিড়ী মহাশয় মৃত্যুহীন গুরু মহাবতার বাবাজির সঙ্গে হিমালয়ের রাণীক্ষেতের কাছে প্রথম সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁর কাছ থেকেই প্রায় ১৬০ বছর আগে ক্রিয়াযোগ নামক সেই পবিত্র বিজ্ঞান-শাস্ত্রের দীক্ষা গ্রহণ করেন। পরমহংস যোগানন্দজি তাঁর যোগী-কথামৃত গ্রন্থে প্রথমবার এই স্বর্গীয় বরদানকে বিশ্বের সামনে প্রকাশ্যে আনেন সেখানে তিনি লিখেছিলেন: “এই শুভ ঘটনা কেবল লাহিড়ী মহাশয়ের জন্যই ঘটেনি; সমগ্র মানবজাতির জন্য এটি ছিল এক সৌভাগ্যের মুহূর্ত। হারিয়ে যাওয়া বা দীর্ঘকাল অন্তর্হিত থাকা যোগের সর্বোচ্চ কলাকে পুনরায় আলোর সামনে নিয়ে আসা হয়েছিল।”
৩০শে সেপ্টেম্বর লাহিড়ী মহাশয়ের আবির্ভাব দিবস (জন্মবার্ষিকী) উপলক্ষে এক বিশেষ অনলাইন ধ্যানের আয়োজন করা হয়, একজন ওয়াইএসএস সন্ন্যাসী দ্বারা এটি পরিচালিত হয় । এই ধ্যানের মাধ্যমে সেই মহান যোগাবতারকে শ্রদ্ধা জানানো হয়, যিনি সমগ্র বিশ্বে পবিত্র ক্রিয়াযোগের শিক্ষা পৌঁছে দিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় প্রারম্ভিক প্রার্থনার মাধ্যমে; এর পর অনুষ্ঠিত হয় পাঠ, ভজন এবং একটি ধ্যান পর্ব । সমগ্র অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয় পরমহংস যোগানন্দজির প্রদত্ত আরোগ্যকারী প্রক্রিয়া ও সমাপ্তি প্রার্থনার মাধ্যমে।
এই অনলাইন ধ্যানের অতিরিক্ত, আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে ওয়াইএসএস আশ্রম, কেন্দ্র ও মণ্ডলীতেও সরাসরি স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এই শুভ অনুষ্ঠানে আপনি যদি দান করতে ইচ্ছুক হন, তবে আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিচের লিঙ্ক ব্যবহার করতে পারেন। আপনার অবদান শুধু নানা মানবিক কর্মকাণ্ড সম্পাদনে সহায়তা করে তাই নয় এর সঙ্গে এটি সেই মহান গুরুর প্রতি আপনার চিরন্তন ভালোবাসা ও অটল ভক্তি প্রকাশ করে।
















